সাঁইথিয়া: বালি পাচার ও তোলা আদায়ের অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিজেপি (BJP)। এরপর সাঁইথিয়া থানার (Sainthia PS) ওসি প্রসেনজিত্ দত্তর (Prasenjit Datta) বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমুল কংগ্রেসের (TMC) বীরভূম জেলার মুখপাত্র (TMC spokesperson of Birbhum) মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukherjee)। সাঁইথিয়া থানার ওসি প্রসেনজিত্ দত্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপারের লিখিত নির্দেশের পরেই সরানো হল সাঁইথিয়া থানার ওসি। তাঁকে পাঠানো হল রামপুরহাট থানায় (Rampurhat PS)। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হল অশোক সিনহা মহাপাত্রকে (Ashok Sinha Mahapatra)।
বেশ কিছুদিন আগেই সাঁইথিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ময়ূরাক্ষী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার ও বালি বোঝাই লরি থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ তোলে স্থানীয় বিজেপি। গত ১৮ ডিসেম্বর এই ইস্যুতে সাঁইথিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা। এর কয়েকদিন পরেই তৃণমুল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় এক সভায় বলেন, সাঁইথিয়া থানার ওসি বাড়াবাড়ি করছেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠিয়ে দেব। তখন বুঝবেন। তৃণমূল নেতার ওই হুমকি নিয়ে পুলিশের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে জেলার একাধিক পুলিশ অফিসার বলেন, ওই নেতার মুখে তো অনুব্রত মণ্ডলের সুর শোনা যাচ্ছে।
আরও বলুন: Birbhum TMC: ক্ষোভ-অভিমানে দল ছাড়লেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বীরভূমের জেলা পরিষদের সদস্য
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বীরভূত জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রায় পুলিশকে হুমকি দিতেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রকাশ্য সভায় অনুব্রত পুলিশকে বোমা মারার পরামর্শ দিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের। বেশ কয়কেমাস আগে রামপুরহাট থানার এক পুলিশ অফিসারকেও তিনি সময় বেঁধে দিয়ে হুমকি দেন। অনুব্রতর ওই আচরণ নিয়ে অবশ্য বিরোধীরা সরব হলেও তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাঁর মাথায় অক্সিজেন কম যায় বলে বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লঘু করে দেন।
পুলিশ মহলের খবর, অনুব্রতর অবর্তমানে জেলার নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukherjee) হুমকির ফলে সাঁইথিয়া থানার (Sainthia PS) ওসিকে এরপরই তড়িঘড়ি সরানো হল। যদিও জেলা পুলিশ এটিকে রুটিন বদলি বলেই দায় সেরেছে।