মালদহ: ডিজে (DJ) বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল একদল যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে মালদহের (Malda) মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ি পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে মোথাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আফজাল মমিন (৬৫)। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবলা পাঠানপাড়ায় বাড়ি তিনি স্থানীয় গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ওই গ্রামের রাস্তা দিয়ে উচ্চৈস্বরে ডিজে বাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন যুবক। সোমবার একদল যুবক ডিজে বাজিয়ে যাচ্ছিল সেখান দিয়ে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: মেলার প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগরে মমতা, কী বললেন দেখে নিন
স্থানীয়রা তাদের নিষেধ করলে তারা ডিজে থামিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে আরও একদল যুবক রাস্তা দিয়ে ডিজে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড জোরে বাজাচ্ছিল। ডিজে বাজানো বন্ধ করার অনুরোধ করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তারা ডিজে থামিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিবাদ শুরু করে। দুই পক্ষের বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত বছর জল্পেশ মন্দিরে (Jalpesh Temple) যাওয়ার পথে ডিজের জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০ পুণ্যার্থীর। ঘটনাটি ঘটে মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংরাবান্ধা সংলগ্ন ধরলা সেতুতে। পিকআপ ভ্যানে থাকা জেনারেটর থেকেই শর্ট সার্কিটের কারণে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিস সূত্রে খবর, শীতলকুচি থেকে পিকআপ ভ্যানে করে জল্পেশ মন্দিরে যাচ্ছিলেন ভক্তরা। গাড়ির পিছনে চলছিল ডিজে। তার সঙ্গে ছিল জেনারেটর। কোনও কারণে শর্ট সার্কিট হয়। গুরুতর আহত হন ১৬ জন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে চ্যাংরাবান্ধা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।