skip to content
Tuesday, June 18, 2024

skip to content
Homeজেলার খবরবাম আমলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান এখন ফুটপাতের ফল বিক্রেতা

বাম আমলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান এখন ফুটপাতের ফল বিক্রেতা

Follow Us :

বারাসত: এক বৃদ্ধ রাস্তার ধারে বসে ফল বিক্রি করছেন। সেখানে সাজানো আছে কলা, পেয়ারা, তাল, নারকেল হরেকরকমের ফল। ক্রেতারা আসছেন, দরদাম করছেন, ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই দৃশ্য তো রোজই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটু আলাদা। যিনি ফল বিক্রি করছেন তাঁর পরিচয় শুনলে চমকে উঠতে হয়। ৫ বারের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, ১ বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মশিয়ার রহমান। তিনি এখন বারাসতের ফুটপাতের ফল বিক্রেতা।

৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবন তাঁর। প্রথমবার ১৯৮৩ সালে কংগ্রেসকে পরাজিত করে সিপিআইএমের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এর পর ১৯৮৮, ১৯৯৩, ১৯৯৮ পর পর ৪ বার পঞ্চায়েত সদস্য সচিব নির্বাচিত হন তিনি। দলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় মশিয়ারবাবুর। ২০০৮ সালে নির্দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত খিলকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হন মশিয়ারবাবু। মার্কসবাদে বিশ্বাসী মশিয়ার রহমানের কাছে সততাই মূল মতাদর্শ। নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ বাক্য পাঠ করে ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষতা, নিয়ম-কানুন ও আদর্শ মেনে চলবেন এই শপথ নিয়েছেন তিনি। সেই মতই কাটিয়েছেন সারাজীবন।

moshiar rahaman
ফুটপাতে বসে ফল বিক্রি করছেন মশিয়ারবাবু

সদস্য থাকাকালীন একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার। কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি মশিয়ার রহমান। পঞ্চায়েতের সদস্য থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোনদিনও কোনও অসৎ সঙ্গকে প্রশ্রয় দেননি ও কাউকে আঘাত আক্রমণ করে কোনও কথা বলেননি। সে সময় পাওয়া পুরস্কার মূল্য ভাগ করে দিতেন দলীয় কর্মীদের মধ্যে। কখনও নিজের পরিবার বা নিজে আত্মসাতের কথা ভাবেননি তিনি। প্রধান হওয়ার সুযোগ থাকলেও ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে জোট থাকার কারণে তা কখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি মশিয়ারের।

আরও পড়ুন: ‘ঠিকঠাক হয়নি সেলাই’, প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে

বিশ্বাসী ছিলেন সহজ-সরল জীবনযাপনে। ভিটেবাড়ি বিক্রি করে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা নিজেদের মতন করে তাঁদের সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। স্ত্রীকে নিয়ে মশিয়ার রহমান এখন বারাসতের ন-পাড়ায় থাকেন। সংসারে রয়েছে অভাব-অনটন। তাই সংসার চালাতে বারাসত থানার সামনে ফুটপাতে বসে ফল বিক্রি করছেন তিনি। কোনও দিন ১৫০ আবার কোনও দিন ২০০ টাকা আয় হয় তাঁর। ওষুধ কেনা থেকে খাওয়া-দাওয়া সমস্ত চালাতে হয় এর মধ্যেই। দল না ছাড়লেও দলের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন মশিয়ার রহমান। খোঁজ নেন না বাম নেতারা। আর্থিক অনটনের কাছে হার মানলেও নিজের সততার কাছে হার মানেননি প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মশিয়ার রহমান।

আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে নেই ‘বাবুল’, মিডিয়া জানে, দল জানে না, বললেন দিলীপ

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
নাশকতার জঙ্গি-হুমকি ! যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি এসএসকেএমে হুমকি মেইল
00:00
Video thumbnail
BJP | বিজেপি বনাম বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভুলভুলাইয়া , হাতড়ে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় দল
00:00
Video thumbnail
Neet | supreme court | দুর্নীতির হাত ধরে ডাক্তার আসবে সমাজে ! নিট মামলায় বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
Mamata banerjee | অনন্ত-মমতা সাক্ষাৎ রাজবংশী ভোটে থাবা ? মাথায় হাত বিজেপির ?
00:00
Video thumbnail
স্পিকার পদে প্রার্থী দিতে তোড়জোড় ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধীরা
00:00
Video thumbnail
Mamata Banerjee | কোচবিহারে মদন মোহন মন্দির পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর
00:00
Video thumbnail
Weather Upddate | মঙ্গলে ‘মঙ্গল’ দক্ষিণবঙ্গে , স্বস্তির বৃষ্টি শুরু , ৩ দিনের আপডেট জেনে নিন
00:00
Video thumbnail
Expanding Glacial Lakes | হিমালয়ের হিমবাহ দ্রুত গলছে, ভয়ঙ্কর বিপদ আসন্ন! দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Post Poll Violence | High Court | ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের
01:17
Video thumbnail
Kolkata News | নাশকতার জঙ্গি-হুমকি! যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, এসএসকেএমে হুমকি মেইল
03:40