বসিরহাট: অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকার (Teacher) অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম হাসনাবাদে (Hasnabad)। শিক্ষিকার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধ দরজা ভেঙে কোয়েল বর্মন (২০) নামে ওই শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক। স্থানীয় বাসিন্দারা হাসনাবাদের বাদামতলায় কোয়েলের শ্বশুরবাড়িতে বৃহস্পতিবার ভাঙচুর চালান। মৃতদেহ নিয়ে অবরোধ চলে বাদামতলায়। পরে পুলিশি (Police) হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা কোয়েল বর্মনের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় হাসনাবাদ বাদামতলার বছর ২৩-এর যুবক রাহুল মণ্ডলের। রাহুল পেশায় ভিডিও ফটোগ্রাফার। কোয়েল একটি কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বিয়ের পর থেকেই রাহুল এবং কোয়েলের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই মারধর করা হত কোয়েলকে। বেশ কয়েকবার কোয়েল এর জন্য বাপের বাড়িতে চলে আসেন। দুই পরিবার বসে ঝামেলা মিটিয়েও নিয়েছিল। কিন্তু তারপরও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে কোয়েলের উপর। এদিন দুপুরে কোয়েল স্কুল থেকে ফিরে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, পাখার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে কোয়েলের দেহ। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন:Jiban Krishna Das | জীবনের পুকুরে মোবাইল ফেলা সিবিআইয়ের সাজানো, দাবি আইনজীবীর
কোয়েলের পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এদিন দুপুরের পর শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। দফায় দফায় কোয়েলের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চলে। মৃতদেহ নিয়ে হাসনাবাদ ও লেবুখালি রোডের বাদামতলায় অবরোধ শুরু করেন মৃতের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে দিয়ে মৃতদেহ মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরই কোয়েলের শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্বামী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পরিবারের দাবি, ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসনাবাদে উত্তেজনা ছিল।