ডায়মন্ডহারবার: ইলিশের আগমনী। বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে মরশুমের প্রথম ইলিশ ঢুকল ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজারে। ১৫ জুন থেকে নিয়মমাফিক মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেই ট্রলারগুলি রওনা দিয়ে ছিল গভীর সমুদ্রে। কিন্তু তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বেশ কয়েকটি ট্রলারে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল রূপালি শস্য। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ট্রলারগুলো ফিরে এল নামখানার মৎস্য বন্দরে।
বৃহস্পতিবার রাতে সেই মাছ পৌঁছে গেল ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজারে। ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজারের সব আড়তে এদিন ইলিশ না ঢুকলেও প্রায় ৫ থেকে ৬ টি আড়তে প্রায় ৩ টন ইলিশ ঢোকে বৃহস্পতিবার। খবর শুনে বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা হাজির হন নগেন্দ্রবাজারে। তবে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ঢুকলেও সাইজ খুব একটা বড় নয়। মাছগুলির গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। শুক্রবার দুপুরেও ফের কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে এল সাতটি ইলিশ বোঝাই ট্রলার। প্রায় চার টন মাছ নিয়ে ফিরল ট্রলারগুলি। এদিন রাতের মধ্যেই মাছগুলি পৌঁছে যাবে ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজার মাছের আড়তে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এই বিপুল পরিমাণ মাছ পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: Agnipath Protest: অগ্নি-বিক্ষোভে অগ্নিপথ, ফের ট্রেনে আগুন-হিংসা দেশজুড়ে
মরশুমের প্রথমে ইলিশের পাইকারি বাজারে দাম ওঠে প্রায় ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। বর্ষার একেবারে শুরুতেই ইলিশ পেয়ে খুশি আড়তদার থেকে শুরু করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বিগত দুবছর মৎস্যজীবীদের জালে তেমনভাবে ধরা দেয়নি সমুদ্রের রূপালি ফসল। কিন্তু এ বছর মাছ ধরার অনুমতি মেলার প্রথম দিনেই বিপুল পরিমাণে ইলিশের সন্ধান মেলায় ভোজনরসিক বাঙালি চেটেপুটে রসনা তৃপ্তি করতে পারবে বলে মনে করছেন ইলিশের পাইকাররা।