জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়ি-কাণ্ডের তদন্তে আরও এক ধাপ এগোল পুলিস। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত অজয় রায়কে নিয়ে ময়নাগুড়ি গ্রামে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস৷ ঘটনার যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। পুরো ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা ছিল ময়নাগুড়ি গ্রামে। বেশ কিছুদিন আগেই ওই ঘটনায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অজয় রায় ও তার ভাই তৃণমুল নেতা বিজয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত এগোতে আজ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
মাসখানেক আগে ময়নাগুড়িতে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের অভিযোগ, অজয় রায় নাম ওই যুবক শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পুলিস এতদিন তাকে গ্রেফতার করেনি। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত হুমকি আসছিল। একাধিকবার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর এই হুমকি সহ্য করতে না-পেরে ওই নাবালিকা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ১৪দিন পর মৃত্যু হয় হাসাপাতেলই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু একের পর এক দোষীরা ধরা পড়ায় পুলিসি তদন্তে খুশি হয় পরিবার। তাই বুধবার সিবিআই তদন্ত থেকে সরে এসে পুলিসি তদন্তেই আস্থা রাখে তারা। নির্যাতিতার বাবার দাবি, মেয়ের ঝলসানো চেহারা দেখে তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। তাই তখন তিনি সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর পুলিস চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় তিনি খুশি।