ইম্ফল: মণিপুরে জঙ্গিহামলায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুরের বাসিন্দা শ্যামল দাসের।আজ রবিবার তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে গ্রামে। গ্রামেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
শনিবার অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠীর গাড়ির উপর নজর রাখছিল জঙ্গিরা৷ তারা জানত গাড়ির ভেতর রয়েছে অফিসারের স্ত্রী ও ছেলে৷ সেটা জানা সত্ত্বেও গ্রেনেড লঞ্চার বা ইউবিজিএল-র সাহায্যে খুব কাছ থেকে গাড়ির উপর হামলা করে জঙ্গিরা৷ শনিবার জঙ্গিদের এই হামলায় মৃত্যু হয় ৪৬ অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠীর। মারা গিয়েছেন বাঙালি জওয়ান শ্যামল দাস-সহ চার জওয়ান। মৃত্যু হয়েছে কর্নেল ত্রিপাঠীর স্ত্রী এবং ছেলেরও।
আরও পড়ুন – মায়ানমার হয়ে মণিপুরে ঢুকে অসম রাইফেলসের অফিসারের গাড়িতে হামলা জঙ্গিদের
এই হামলায় মৃত শ্যামল দাস ২০০৯ সালের নভেম্বরে অসম রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন। দুর্গাপুজোর আগেই গ্রামে ফিরেছিলেন তিনি। আর উৎসবের রেশ কাটার আগেই শনিবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কথা পরিবারের লোকজন জানতে পারে।
তার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার-সহ গোটা গ্রামে। রবিবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর দেহ এসে পৌঁছবে। এদিন রাতেই মৃত জওয়ান শ্যামল দাসের দেহ নিয়ে আসা হবে খড়গ্রামের বাড়িতে। জওয়ানের দেহ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা দাস ও তাঁর একমাত্র মেয়ে দিয়া দাস -সহ পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা।