কেশপুর: ভোটপরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা মোহাম্মদ রফিককে নোটিস দিল সিবিআই। সোমবার বিকেলে কেশপুরের তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ রফিকের সাঁকোয়ার বাড়িতে পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেখানে তাঁকে না পেয়ে মেদিনীপুরে যায় সিবিআই। সেখানেই তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে নোটিস দেয় সিবিআই।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কেশপুরের কৈগেড়িয়া এলাকাতে সুশীল ধড়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি ওই বিজেপি কর্মীর মেয়ে তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছিল এই অভিযোগ করে মামলা করে। সেই মামলায় সিবিআই কেশপুরের ১২১ জন বিভিন্ন স্তরের নেতাকে নোটিস করেছে। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা আলাদা তারিখও দেওয়া হয়েছে।
খড়্গপুরের ডিআরএম অফিসে ১৪০ নম্বর রুমে অস্থায়ী ক্যাম্প করে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেই ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জন কেশপুরের তৃণমূল নেতা কর্মীকে জেরা করেছে সিবিআই। দীর্ঘ তালিকাতেই নাম ছিল মোহাম্মদ রফিকের। এবার তাঁকে জেরা করতে বাড়িতে এসে সিবিআই অফিসার অজিত কুমার পাণ্ডে নোটিস দেন। ওই নোটিসে আগামী ২৭ এপ্রিল, বুধবার বেলা বারোটার সময় ওই তৃণমূল নেতাকে খড়্গপুরে ডিআরএম বিল্ডিংয়ে জেরা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের জামিন নাকচ
যদিও এই বিষয়ে মোহাম্মদ রফিক বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ এটা। সিবিআই রাজ্য স্তরের নেতাদের পর এবার বুথ স্তরের নেতাদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। যে ব্যক্তি খুনের কথা বলা হচ্ছে সেই ব্যক্তির নাম কোনও দিন শুনিনি। এমনকি তাঁকে যে মারধর বা খুন হয়েছে এমন কোনও তথ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিস ও আদালতের কাছে নেই। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এর জবাব আমরা দেব।