হুগলি: চন্দননগরে রাম চক্রবর্তীর উপরই ভরসা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র করা হল তাঁকে। ভোটের আগেই অবশ্য নেত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, জিতলে রাম চক্রবর্তীই পরবর্তী মেয়র। শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করে বুঝিয়ে দেওয়া হল, রামে পূর্ণ আস্থা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ হুগলি জেলায় চন্দননগর পুরনিগম নিয়েও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা সময় বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছে। দলীয় কাউন্সিলরদের মধ্যে তীব্র কোন্দল চলেছে দিনের পর দিন। মেয়র রাম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলররাই সম্পূর্ণ অনাস্থা জানিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কার্যত গণদরখাস্ত দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, রাম চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন চন্দননগরের পুরবোর্ড ভেঙে দিতে বাধ্য হন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে প্রশাসক বসানো হয়।
প্রশাসক বসানোর পরেও অবশ্য চন্দননগর পুরনিগমে তৃণমূলের কোন্দল মেটার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তার প্রভাব পড়ে পুর পরিষেবার ক্ষেত্রেও। চন্দননগরে মেয়র রাম চক্রবর্তীর বিরোধিতায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রধান ভূমিকা ছিল জয়ন্ত দাসের। মূলত তিনি উদ্যোগ নিয়ে রাম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দলে গোষ্ঠীবাজির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- Bidhannagar Mayor: বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণাই, চেয়ারম্যান সব্যসাচী
জেলার ভারপ্রাপ্ত রাজ্য নেতা অরূপ বিশ্বাসের কাছে এই জয়ন্ত দাসই রামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অরূপ বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে কোন্দল সামাল দিতে পারেননি। এমনকী তিনি বোর্ড ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বোর্ড ভেঙে দেওয়াও হয়।
এবার ভোটে সেই জয়ন্ত দাসকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। ১২ জন সিটিং কাউন্সিলরকে চন্দননগরে টিকিট দেওয়া হয়নি। যদিও জয়ন্ত দাস দলবল নিয়ে পুরভোটে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।