রামপুরহাট: বগটুইকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা আনারুল হোসেনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা বিচারক। শুক্রবার আনারুল হোসেনের হয়ে আদালতে মামলা লড়েন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।
আনারুলের আইনজীবী বলেন, সিবিআই সকলের পলিগ্রাফি পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় তুলে ধরে তার প্রতিবাদ করি। আদালত তাতে মান্যতা দিয়েছে। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া পলিগ্রাফি টেস্ট করা যায় না। সেই কারণে আদালত পলিগ্রাফি টেস্টের ব্যাপারে আনারুলসহ বাকিদের অনুমতি নিতে বলেছে। এছাড়া, আনারুলের কাছ থেকে এই কদিনে একটি মোবাইল ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারা যায়নি। সেই মোবাইলটিও আইন মেনে সিজ করা হয়নি বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: Bhadu Sheikh Murder CBI: সিবিআই সঠিক তদন্ত করুক, বলছেন পুলিসের তদন্তে আস্থা রাখা ভাদুর স্ত্রী
এদিন আদালতে তোলার আগে সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরেন আনারুলকে। গামছায় মুখ ঢাকা সবুজ পাঞ্জাবি পরা আনারুল হাঁটতে হাঁটতেই জবার দেন, আমি নির্দোষ। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার আস্থা আছে। শুক্রবার আনারুলকে তোলা হয় রামপুরহাট মহ্কুমা আদালতে। এ কদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা আনারুল। এদিন সেই হেফাজত শেষ হয়।
আরও পড়ুন: Adult Booster Dose: রবিবার থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ, জানাল কেন্দ্র
গত ২৭ মার্চ ঠিক একই ভাষাতেই বগটুই কাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) অভিযুক্ত সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট (Tmc Block President) আনারুল হোসেন (Anarul Hossain) তাঁর গ্রেফতারির ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। রামপুরহাটের বগটুইয়ে হত্যালীলায় (Rampurhat political violence) খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আনারুলকে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২৫ মার্চও ধৃত আনারুলকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার সময় বলেছিলেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঠিক একই ভাষাতেই আনারুলকে সিবিআই (CBI) হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্র।