দুবরাজপুর: নামেই গ্রামীণ হাসপাতাল৷ কিন্তু ঠিকঠাক চিকিৎসা পরিষেবাটুকুও মেলে না৷ মঙ্গলবার দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এরকম আরও অভিযোগ শোনা গেল স্থানীয়দের মুখে৷ ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা না পেতে পেতে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল তাঁদের মধ্যে৷ এদিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল৷ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ৷
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইসিজি ও এক্স রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে খারাপ৷ ফলে ইসিজি ও এক্স রে করাতে এসে প্রতিদিনই রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে৷ চক্ষু বিভাগ বন্ধ৷ শিশু বিভাগ নেই৷ বারবার বলা সত্ত্বে এই বিভাগগুলো চালু করার কোনও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের৷ অথচ দুবরাজপুরের পাশাপাশি খয়রাশোল, রাজগঞ্জের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এই হাসপাতালে ছুটে আসেন৷ কিন্তু এখানে ন্যূনতম পরিষেবা পাওয়া যায় না৷ শেখ ইন্তাজ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘হাসপাতালে কোনও পরিকাঠামো নেই৷ রোগীকে যেখানে রাখা হয় সেখানে জঞ্জালে ভর্তি৷ আর বাইরে এসে বলে, আপনারা এলাকা পরিষ্কার রাখুন৷ আগে নিজের জায়গাটা পরিষ্কার রাখুক৷’
শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাব ও ঠিকমতো কর্তব্য পালন না করার অভিযোগও উঠেছে৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্মীরা দেরি করে হাসপাতালে আসেন৷ তাঁদের দাবি যে ভুল নয় তা ধরা পড়ে কলকাতা টিভির ক্যামেরায়৷ এদিন এক স্বাস্থ্যকর্মীকে ১১ টা ৪২ মিনিটে অফিসে ঢুকতে দেখা গেল৷ এত দেরি কেন হল প্রশ্ন করায় ওই কর্মীর সাফাই, ‘ট্র্যাফিকের জন্য দেরি হল৷’ কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, প্রত্যেকদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা দেরিতে আসেন৷
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ মেনে নেন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ আধিকারিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে এক্স রে মেশিন খারাপ৷ স্বাস্থ্যভবনও জানে৷ কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না আসা পর্যন্ত কিছু করতে পারছি না৷ ইসিজির টেকনিশিয়ান অবসর নিয়েছেন৷ এগুলো সব জানানো হয়েছে৷’
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘অসুস্থ’ অনুব্রত ‘সম্পূর্ণ বিশ্রামে’, সিবিআই দফতরে আসবেন না