বাঁকুড়া: স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান৷ অথচ নিজেই বিদ্যালয় বানান জানেন না৷ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাংলা পড়তে ও বানান না জানার অভিযোগ তুলে সোমবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাববকরা৷ বাঁকুড়ার ওন্দা থানার চড়ুইচুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীবকুমার দীক্ষিত৷ শিক্ষক হয়েও তিনি নাকি বাংলা পড়তে পারেন না৷ যদি বানান বলতে বলা হয় তাহলে আমতা আমতা করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ এই অভিযোগেই সোমবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা৷ পরে পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবকরা৷
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রাজীবকুমার দীক্ষিত৷ তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে৷ সাজিয়ে বলছে সব৷’ অথচ ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ নন্দীও অভিভাবকদের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন৷ তিনিও জানান, ওই শিক্ষক বাংলা পড়াতে পারেন না৷ যুক্তাক্ষর বানান উচ্চারণ করতে পারেন না৷ এমন লোক স্কুলে চাকরি পেল কী করে, সেই প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা{ এক পড়ুয়ার বাবা স্বপন পাল বলেন, ‘উনি ক্লাসে ঠিকমতো পড়াতে পারেন না৷ বাংলা লেখাই পড়তে পারেন না৷ এতেই বোঝা যায় যে শিক্ষক হিসেবে তিনি কতটা যোগ্য৷ এর আগে এসআইকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ এমন অযোগ্য শিক্ষকের হাতে পড়লে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতও অন্ধকার৷’
স্বপন পালের অভিযোগের সঙ্গে একমত অন্যান্য অভিভাবকরা৷ এদিন স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা জানিয়ে দেন, ওই অযোগ্য শিক্ষককে সরাতে হবে৷ তা না হলে স্কুলের গেটে তালা ঝুলবেই৷ এদিকে স্কুলে ঢুকতে না পেরে বাইরেই বসে থাকেন শিক্ষকরা৷ যদিও ঘণ্টাখানেক বাদে পুলিস পৌঁছয় স্কুলে৷ চলে আসেন ওন্দা ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বাবলু ভৌমিক৷ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে৷ আপাতত সবাইকে বুঝিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাসে ঢুকিয়ে দিয়েছি৷’