গাইঘাটা: উত্তর ২৪ পরগনায় বেআইনিভাবে নদী ভরাটের অভিযোগ। চালুন্দিয়া নদী বাঁচাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় যশোর রোডে অবরোধ। রবিবার সকালে চাঁদপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান চালুন্দিয়া নদী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চালুন্দিয়া নদীতে মাটি ভরাট করতে করতে তা প্রায় খালে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবে এবার নদী ভরাট বন্ধ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটায় চালুন্দিয়া নদী। গাইঘাটা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকে যমুনা প্রবেশ করেছে স্থানীয় ধর্মপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়ে। শেষে ইছাপুর-১ পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে তা গোবরডাঙায় চলে গিয়েছে। গাইঘাটা ব্লকে যমুনা রয়েছে প্রায় ১২ কিলোমিটার। এক কালে এই নদীই ছিল গাইঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রধান নিকাশির মাধ্যম।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মাটি ভরাটের চাপে সেই নদী আদতে খালে পরিণত হয়েছে। নদী জবরদখল করে চলছে কংক্রিটের বিল্ডিং তৈরির কাজ। নদীবক্ষ ভরে যাওয়ায় চাঁদপাড়া বাজারে জলনিকাশি ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই জলে ভরে যায় ওই এলাকা। বহু মানুষকে বর্ষার সময় বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়।
বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বক্তব্য, চাঁদপাড়ার জলনিকাশির সবথেকে বড় একটা জায়গা চালুন্দিয়া নদী। সেই নদী জবরদখল করে মাটি ভরাট করতে করতে তা প্রায় খালে পরিণত হয়েছে। যেটুকু বেঁচে রয়েছে, এখন সেটাও দখলের মুখে। চালুন্দিয়া নদীতে অবৈধভাবে এই মাটি ভরাট, জমি দখল কিছুতেই বরদাস্ত করা যাবে না। তাই এদিন সম্মিলিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ। জমি দখল বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিধায়ক।
চালুন্দিয়া নদী বাঁচাও কমিটির সম্পাদক নন্দ দুলাল দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে অবৈধভাবে মাটি ভরাটের কাজ। জলনিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজও। নদী বাঁচানোর জন্য গ্রিন বেঞ্চ, বনগাঁ কোর্ট, হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তাও সবকিছু উপেক্ষা করেই চলছে প্রোমোটিংয়ের কাজ। নদী বাঁচাতে এই আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানান তিনি।