ধূপগুড়ি: ষাঁড়ের পেটে কি সত্যিই কোনও মেটাল বা ধাতু আছে? জানতে ষাঁড়টিকে মঙ্গলবার ক্রেনের সাহায্যে গাড়িতে তুলে খোঁয়াড়ে নিয়ে যাওয়া হল৷ ধুপগুড়ি পুরসভা সূত্রে খবর, অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের পরামর্শে তার পেট থেকে ধাতব বস্তু বের করা হবে।
সোমবার স্থানীয় চিকিৎসক বলেছেন, ষাঁড়ের পেটে মেটাল বা ধাতু থাকতেও পারে। প্রাথমিক পরীক্ষায় ষাঁড়টি খাবারের সঙ্গে কোনও ধাতু গিলে ফেলেছে। কিন্তু কী ভাবে বোঝা যাবে পেটের ভিতর আদৌ ধাতু কোনও আছে কি না? তা জানতেই মেটাল ডিটেক্টর আনা হয়। তারপর…
দেখুন ভিডিও:
জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির মোরঙ্গা চৌপতি এলাকার ঘটনা। দশ দিন ধরে ষাঁড়টি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল৷ স্থানীয়রা তা দেখে এলাকার এক পশুপ্রেমী সংস্থায় খবর দেন। খবর পেয়ে পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা চিকিৎসক এনে ষাঁড়টিকে পরীক্ষা করেন৷ চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান, খাবারের সঙ্গে কোনও ধাতু গিলে ফেলেছে৷ সে জন্যই ষাঁড়টি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে৷ গলা ও নাভির অংশ ফুলে গেছে৷ তবে, শরীরের ঠিক কোন অংশে ধাতব দ্রব্যটি আটকে রয়েছে তা, বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। তাই আনা হয় মেটাল ডিটেক্টর। ষাঁড়ের শরীর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হল৷ কিন্তু না কাজ হয়নি। বোঝা যায়নি সত্যিই ষণ্ডের পেটে লৌহদণ্ড আছে কিনা। তাই ষাঁড়টিকে খোঁয়াড়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তবে এত চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না ষাঁড়টিকে। খামারে পৌঁছে মারা গেল সে।