ক্যানিংঃ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কাঁদছে একটি শিশু। অনেকে তাকে দেখছে। অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছে। কিন্তু অনেক্ষণ হয়ে গেলেও বাচ্চাটিকে কেউ নিতে আসছে না। তাই দেখেই সন্দেহ হয় কয়েকজন অটোচালকের। পরে এক অটো চালকের তৎপরতায় ঘরে ফেরে সেই শিশু।
আরও পড়ুন : শিশুর তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি ক্যানিং লোকালের
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যানিংয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ৯ বছরের শিশুকে কাঁদতে দেখে প্রথমে সেভাবে কেউ গুরুত্ব দেননি। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে একা একটি শিশু কেন কাঁদছে তা জানতে উৎসুক হন দু তিন জন অটো চালক। তাঁরা শিশুটিকে জিজ্ঞেসাবাদ করে জানতে পারেন যে, শিশুটি ট্রেনে চেপে ক্যানিংয়ে চলে এসেছে। এখন আর বাড়ি ফিরতে পারছে না। রাস্তা ভুলে গেছে। শিশুটিকে তাঁর নাম ঠিকানা পরিবারের কথা জিজ্ঞাসা করেন অটো চালক বাপি বিশ্বাস। কিন্তু সঠিক কিছু সেভাবে বলতে না পারায় আরও ২ সঙ্গী বাপ্পা সর্দার ও হাসা শেখকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা ক্যানিং থানার হাতে শিশুটিকে তুলে দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, জীবনতলা থানার অন্তর্গত পিয়ালিতে একটি ভাড়া বাড়িতে বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকতো শিশুটি। তবে কয়েক দিন আগে শিশুটির বাবা মা কাজের জন্য অন্যত্র চলে যাওয়ার কারণে এই শিশুটি একাই বাড়িতে থাকতো। সেখান থেকে বাড়ির মালিক পিন্টু নস্কর মঙ্গলবার রাজা দাস নামে ওই শিশুটিকে মারধোর করে তাড়িয়ে দেয়। তাকে জোর করে ট্রেনে তুলে দেয়। ক্যানিং স্টেশানে নেমে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে শিশুটি। অবশেষে এই অটো চালকদের চোখে পড়ায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।