পুরুলিয়া : বৃহস্পতিবার ভোররাতে মনসা পুজো। সেই পুজোর কেনাকাটায় তেমন সাড়া পড়ল না জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া জেলায়। এই জেলার অধিকাংশ বাড়িতে মনসা পুজোর রীতি রয়েছে। পরম্পরা হিসাবে পুজোতে হাঁস বা ছাগলের বলি দেওয়া হয়। গত দু বছর ধরে গোটা দেশে করোনার জেরে লকডাউন চলছে, ফলে মানুষের হাতে কাজ নেই। মনসা পুজোর মূর্তি বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে।
জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মনসাপুজোর নিয়ম নীতি মানতে পারছেন না অর্থের অভাবে। মৃত শিল্পীরাও দু মাস আগে থেকেই মনসার মূর্তির তৈরি করে। কিন্তু এ বছর বিক্রি নেই তাঁদের। ফলে মৃৎ শিল্পীদের মাথায় হাত। মৃত শিল্পীরা জানান, কষ্ট করে তৈরি করা মূর্তি বিক্রি না হলে ঋণ শোধ করতে অসুবিধা হয়। যার ফলে তাঁর পরিবারকে অনাহারে দিন কাটাতে হবে। মঙ্গলবার ঝালদায় সাপ্তাহিক হাট বসে। বহু গ্রামের মানুষ এই হাটে বেচা কেনা করতে আসে। যেহেতু মঙ্গলবার রাতেই মনসা পুজো, সে জন্য হাটে বিক্রির জন্য কয়েক হাজার হাঁস, ছাগলের নিয়ে আসা হয়। বেশ চরা দামে সেগুলি বিক্রি হয়। মূর্তি না কিনেও পুজো দেওয়া যায়। কিন্তু হাঁস বা ছাগলের বলি না দিয়ে পুজো দেওয়া যাবেনা। অন্যান্য বার যেখানে একটি হাঁসের দাম ২৫০টাকা থাকে, সেখানে এবারে সেই হাঁসের দাম ৩৫০-৪০০টাকা, ফলে দাম চরা হলেও হাঁস বা পাঠা ছাগলের দাম ৪০০০ টাকা। পুজোতে বলি দিতেই হবে। সেই পুরোনো নিয়ম মানতেই বাধ্য হয়ে চরা দাম দিয়ে হাঁস, ছাগল কিনতে হচ্ছে মানুষকে।