বোলপুর: বিশ্বভারতীর পাঠভবন হস্টেলে ছাত্রের রহস্যময় মৃত্যুর পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি মৃত্যু আসল কারণ। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে নিহত ছাত্রের বাড়ি যাচ্ছে বিশেষ প্রতিনিধিদল। দলে নেতৃত্বে থাকছেন বোলপুরে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি, সিউড়ি তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও দলে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের ছাত্রাবাসে অসীম দাস নামে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি নানুরের বনগাঁ গ্রামে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। একদম নার্সারি থেকেই বিশ্বভারতীর পাঠভবনের ছাত্রাবাস থেকে পড়াশোনা করত অসীম। পড়াশোনাতে ভালোই আগ্রহ ছিল তাঁর। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, প্রেমে টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যা করেছে অসীম।
মৃত ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ নিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। অসীমের দেহ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাতেও বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। বিশ্বভারতীর সাধারণ পড়ুয়ারাও ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। উপাচার্যর বাসভবনের সামনে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেও মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: Corona India: ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৫২৭
অসীমের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করেনি৷ কীভাবে মৃত্যু হল অসীমের, তাও জানানো হয়নি৷ নিহত ছাত্রের বাবা বলেন, উপাচার্য বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অন্য কেউ আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলছেন না৷ কীভাবে আমার ছেলের মৃত্যু হল, তাও জানাচ্ছেন না৷ আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।