Tmc Flag Debate at Pujo Carnival  Circulated through DM Facebook Page  জেলাশাসকের ফেসবুকে পুজোর কার্নিভালের ভিডিওতে তৃণমূলের পতাকা, তরজা 

বাঁকুড়ার জেলাশাসকের (DM) ফেসবুক পেজে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের ভিডিও প্রচারের সময় তৃণমূলের দলীয় পতাকার ছবি দেখানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কার্নিভালের ভিডিওতে শাসকদলের পতাকার ছবি ব্যবহার করেছেন জেলাশাসক। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিরোধী দল (OPPOSITION) কী বলল তা ফ্যাক্টর নয়। তবে ভুল-ত্রুটি থাকতেই পারে। কার্নিভাল ছিল দলমতনির্বিশেষে মানুষের উৎসব (Festival) । জেলা প্রশাসন (District Administration) অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ারেরও। 
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার শনিবার বলেন, মাননীয়ার নির্দেশ (Directives) আছে, এই কার্নিভালকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রচার করতে হবে। তাই জেলাশাসক তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওতে তৃণমূলের পতাকা দেখিয়ে এই প্রচার করেছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হস্তক্ষেপ করে এটা মুছে ফেলতে বলুন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, তিনি সেখানকার সবেচেয়ে পুরনো পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হওয়া সত্ত্বেও পুজোর কার্নিভালে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। 
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু অবশ্য পাল্টা বলেন, দলমতনির্বিশেষে এই কার্নিভালে সাধারণ মানুষ শামিল হয়েছিলেন। এই কার্নিভাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা গর্বের। কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল কী বলল সেটা কোনও ব্যাপার নয়। কোনও ভালো কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় কার্নিভালের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। অভিযোগ, মূল মঞ্চ তৈরি করা হয় তৃনমূলের বাঁকুড়া (Bankura) জেলা কার্যালয়ের (Party Office)  উলটো দিকের মাঠে। কার্নিভালের লাইভ সম্প্রচার (Live Brodcast)  করা হয় বাঁকুড়ার জেলাশাসকের নিজস্ব ফেসবুক পেজে। ওই লাইভ সম্প্রচারের একাংশে প্রায় কুড়ি সেকেন্ড ধরে তৃণমূলের কার্যালয়ের উপরে উড়তে থাকা পতাকার (Flag) ছবি দেখানো হয়। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।