মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কোশপুর কলেজে টিএমসিপি ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধু টিএমসিপির মধ্যেই গোলমাল সীমাবদ্ধ নেই, কেশপুরে মূল সংগঠন তৃণমূলও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়জড়িত। অবস্থা সামাল দিতে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতেও সমস্যা মেটেনি।
গত পাঁচ দিন আগে কেশপুরে সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে টিএমসিপির দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে হয়। দুপক্ষের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। তারপরই রবিবারের বৈঠকে কলেজের চিএমসিপির ইউনিট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারা ছাড়াও দুই মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা প্রমূখ। কলেজের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতারাও হাজির ছিলেন। তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কলেজে ছাত্র সংগঠনের কোনও ইউনিট থাকবে না।
আরও পড়ুন:Supreme Court: ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা পাওয়া তিন আসামি বেকসুর খালাস সুপ্রিম কোর্টে
বৈঠক শেষে অজিত মাইতি জানান, কলেজ নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া কেশপুরে বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়। তবে সব সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে ফের বৈঠক হবে। দলীয় সূত্রে খবর, রবিবারের বৈঠকে দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যৈ ব্যাপক ঝগড়াঝাটি হয়। রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বৈঠক সেরে গাড়িতে ওঠার মুখে বিক্ষোভের পড়েন বিধায়ক শিউলি সাহা। তাঁর গাড়িতেও চড়থাপ্পর পড়ে। শিউলি বলেন, দলের বিরুদ্ধাচরণ করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। যাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে, পঢ্চায়েত ভোটে তাঁদেরই প্রার্থী করা হবে।