ঝালদা: ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (WB Government)। শুক্রবার পুরসভা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট (high court) চেয়ারপার্সনকে (chairperson) সরানোর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ (stay order) জারি করল। পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বজায় থাকবে বলে জানিয়ে দিল আদালত। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, তত দিন পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu) চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব সামলাবেন। ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত আরও বলে, ৮ ডিসেম্বরের যে চিঠির উপর ভিত্তি করে নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানো হয়েছে, তা চেয়ারম্যানকেই দেওয়া হয়নি।
সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HighCourt) বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) বলেন, আদালতকে একটু সম্মান করতে শিখুন। আদালতের নির্দেশে ১৭ জানুয়ারি ভোটাভুটিতে একজন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন। পরের দিন তাঁকে সরিয়ে দিয়ে হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের একজনকে চেয়ারম্যান করে দিলেন। এটা কী করে হয়? সরকারি আইনজীবী জানান, পুর আইন অনুযায়ী যে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিকে চেয়ারম্যান করতে পারে প্রশাসন। বিচারপতি বলেন, ঠিক আছে। তাই বলে যাঁরা হেরে গিয়েছেন ভোটাভুটিতে, তাঁদের থেকে কেন কাউকে চেয়ারম্যান করতে হবে। প্রশাসনের এত তাড়া কীসের।
আরও পড়ুন: Calcutta HC on Sound Pollution: বিধি ভেঙে শব্দ দূষণ, রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের
ঝালদা পুরসভা নিয়ে জটিলতা যেন কাটতেই চাইছে না। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, যেন তেন প্রকারে তাদের হাতে থাকা এই পুরসভা দখল করতে মরিয়া তৃণমূল(Trinamool Congress)। এর থেকেই বোঝা যায়, এই সরকার কতটা স্বেচ্ছাচারী। নানা টালবাহানার পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HighCourt) নির্দেশে গত ১৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন করা হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর (independent councillor) শীলা চট্টোপাধ্যায়কে (Sheila Chatterje)। ভাইস চেয়ারপার্সন (vice chairperson) হন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর (congress councillor) পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)। বৃহস্পতিবার নির্দল কাউন্সিলর শীলার সদস্যপদ খারিজ করেন মহকুমা শাসক (Subdivisional Officer-SDO) ঋতম ঝা।
১৯৯৩ সালের পুর আইনের ২১বি ধারা অনুযায়ী তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন আগেই জানিয়েছিলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল (Suresh Agarwal)। তার কিছুক্ষণ পরই পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান করার কথা জানায়। শুক্রবার শীলা ফের আদালতে যান। তাঁর দাবি, তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন আগে। তারপর তিনি সমর্থন তুলে নেন। তিনি তৃণমূলের সদস্য ছিলেন না। এই মামলাতেই এদিন মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের।