বর্ধমান: খুন হওয়া কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের (Raju Jha) সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে (Bratin Mukhopadhyay) সোমবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Bardhaman Medical College Hospital) থেকে শক্তিগড় (Saktigarh PS) থানায় নিয়ে যাওয়া হল। এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে ব্রতীনকে হাসপাতাল থেকে বের করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। শক্তিগড় থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজু ঝায়ের শুট আউট (Shoot Out) এর সময় ব্রতীন রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন। তিনি ছিলেন পিছনের সিটে। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়লে ব্রতীন গাড়ির দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় গুলি এসে লাগে তাঁর হাতে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাঁকে অনাময় হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।
তিনি কলকাতায় কী করতে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন নিজের কাজে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কে কে ছিল প্রশ্ন করা হলে ব্রতীনবাবু বলেন সেটাতো সবই জানেন আর কী বলব। আব্দুল লতিফ (Abdul Latif) ছিলেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কাউকে চিনি না। আপনার সঙ্গে রাজুদার কী সম্পর্ক প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার দাদা ভাইয়ের সম্পর্ক। আমি দাদার সঙ্গে থাকতাম।শক্তিগড়ে কেন গিয়েছিলেন প্রশ্ন করা হলে ব্রতীন বলেন, আমরাতো দাঁড়াই শক্তিগড়ে। চালক বলছে আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিল। প্রশ্ন করা হলে ব্রতীন বলেন, তাহলে হতে পারে। আমি জানি না।আপনি কি আব্দুল লতিফকে চিনতেন না সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান চিনতেন না। গুলি কজন চালিয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন দুজনকে দেখেছি। তাদেরকে আপনি কি চিনতে পেরেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন না চিনতে পারিনি। তাকে আবারো প্রশ্ন করা হয় কতজন গুলি চালিয়েছে তিনি বলেন আমিতো বাঁদিকে ছিলাম আমি একজনকেই দেখেছি। একবার বলছে দুজনকে দেখেছি একবার বলছে একজনকে দেখেছি তাহলে ব্রতীন কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে কি না প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।আর যখন গুলি চালিয়েছিল তখন কী আপনারা তিনজন বাইরে ছিলেন প্রশ্ন করা হলে ব্রতীন বলেন আমি বাইরে ছিলাম। এরপরেই কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এদিন সিটের সদস্যরা ব্রতীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তাঁকে জেলা পুলিশ সুপার অফিসে আনা হয়েছে। সেখানে প্রথমে সিটের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তারপর পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজির শিক্ষাদীক্ষা এবং মোগল ইতিহাস
এদিন গোটা পুলিশ সুপার অফিসকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়। এরপরেই জেলা পুলিশ সুপার অফিসের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে লতিফের গাড়ির ড্রাইভার নুরকেও (Nur)। তাকেও একইভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।