হাঁসখালি: হাঁসখালিতে তৃণমূল কর্মী আহমেদ আলি বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল একজনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম খালেক মণ্ডল। বড়চুপুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার এই খালেকের দোকানেই চা খেয়েছিলেন আহমেদ। তারপরই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। যদিও খালেকে আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। আসল দোষীদের পুলিশ ধরছে না। এদিকে আহমেদের দিদির অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত ঠিক হচ্ছে না। একইসঙ্গে তিনি সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান। শনিবার ধৃত খালেক মণ্ডলকে রানাঘাট আদালতে তোলা হয়। এদিন বড় চুপুরিয়া বাজার এলাকায় থমথমে পরিবেশ। কিছু দোকান খুললেও বাকি সব দোকান বন্ধ। বাজারে লোকজনের সংখ্যাও অনেক কম। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রতিদিনের মতো সকালবেলায় বাজারে যান আহমেদ আলি। তিনি চায়ের দোকানে চা খেয়ে পাশের একটি দোকানে পান কিনছিলেন। সেই সময় দুটি মোটরবাইকে করে পাঁচজন দুষ্কৃতী এসে তার উপর চড়াও হয় বলে জানা যায়। একেবারে খুব কাছ থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে কানে গুলি করা হয়। তারপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয় আহমেদকে।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ওই এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আহমেদ আলির সঙ্গে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ অভিযোগ ছিল। গত ১৫ দিন আগেই তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তবে কী কারণে খুন তা এখনই স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা, না কি তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের জেরে খুন তা তদন্ত করে দেখছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে বিজেপির দাবি করেছিল, গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই খুন করা হয়েছে আহমেদকে। তবে জনবহুল বাজারে এভাবে খুনের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই এই ঘটনা স্বভাবতই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।