মালদহ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে এ যেন রাজনীতির যোগ-বিয়োগের খেলা। ফের মালদহে (Maldah) তৃণমূলে (TMC) ভাঙন। শনিবার বিকেলে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গয়েসবাড়ি অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি টুনু বোসনি সহ প্রায় দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। এছাড়াও এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান, ব্লক কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী মাহিবার রহমান সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব।
যোগদানের পর তৃণমূল কর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে থেকেও কোন আপদ-বিপদে নেতৃত্বদের পাশে পাওয়া যায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতৃত্বরা দিনের পর দিন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। যার কারনেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
আরও পড়ুন:Dilip Ghosh | ভোট লুট করতে এলে বাঁশ দিয়ে ট্রিটমেন্ট করবেন বলে দাওয়াই দিলীপের
গত ২৪ এপ্রিল থেকে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সভা করেন তিনি। মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, কংগ্রেসের জয় অক্সিজেন যোগাচ্ছে বিজেপিকে। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জেতার পরই এনআরসি নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি। একই সঙ্গে সাগরদিঘির উদাহরণ তুলে ধরে কংগ্রেস এবং বিজেপি একে অন্যের পরিপূরক , এমনও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। যে চেনা অভিযোগে কংগ্রেস বিদ্ধ করে রাজের শাসক দলকে। কিছুদিন আগেই মালদহ জেলায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন শতাধিক নেতা, কর্মী। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জেলায় তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের শেষের সে দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। দলে দলে লোক তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসছেন। আমাকে রোজ জেলায় জেলায় যোগদান শিবিরে হাজির থাকতে হচ্ছে।