বুধবার অতিনাটকীয় ভাবে বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রী পরীমনিকে বাংলাদেশের র্র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান আটক করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই পরিমনিকে নিয়ে বিভিন্ন ঘটনার জেরে তিনি সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। জানা গিয়েছে ঢাকায় অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ মদ এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও নায়িকার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কি অভিযোগ রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। শুধু পরিমনি নয়, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সেদেশের দুই পরিচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌ। তাদেরকে আটক করা হয়েছে মাদক মামলায়। তদন্তে একের পর এক উঠে এসেছে মরিয়ম আক্তার মৌ এর নামে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মৌয়ের ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমান মদ। বেশ কয়েক মাস ধরে বেআইনি কাজ করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের নজরে ছিল পিয়াসা। প্রথমে তাকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। প্রিয়া সাহার বয়ানে উঠে আসে মডেল মৌ এর নাম। পিয়াসা জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, ৫০ জনেরও বেশি মেয়ে মডেল কাজ করতো মরিয়ম আক্তার মৌ এর অধীনে। যাদের কাজ ছিল ধ্বনি ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদেরকে বাড়িতে পার্টিতে নিমন্ত্রণ করে ডেকে আনা। তারপর তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ভিডিও তুলে পরবর্তী সময়ে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত মৌ। পুলিশ জানতে পেরেছে মৌ এর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বেশ রঙিন। তদন্তকারীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ব্যক্তিগত জীবনে মৌ ১১ টি বিয়ে করেছেন। ধ্বনি ব্যবসায়ীদের বিয়ে করা এবং তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়াই ছিল মডেলিংয়ের পাশাপাশি তার অন্যতম পেশা। বাংলাদেশের মোহাম্মদপুরে তার পাঁচতলা বিশাল বাড়ি দেখে বিনোদন জগতের সকলেই চমকে উঠতো। সঙ্গী ছিল তার তিনটি নামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। মৌয়ের সঙ্গে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.