‘বলিউড শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan) এর সঙ্গে পরিচালক আর বাল্কির(R Balki) সম্পর্কের কথা প্রায় সকলেরই জানা। তাই বলি-পর্দায় যদি কখনো অমিতাভের বায়োপিক(Biopic) তৈরি হয় তাহলে তা পরিচালক বাল্কি যে করবেন তা নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক তেমনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিগ-বির জীবনকে পর্দায় তুলে ধরা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এর জন্য প্রয়োজন গভীর গবেষণ। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে অমিতাভ এর বায়োপিকের জন্য একটু একটু করে কাজ এগিয়ে রাখেছি। এমনকি চিত্রনাট্য নিয়েও ভেবেছি। চিত্রনাট্যের কাঠামোটাও ভেবে রেখেছি। অমিতাভের সঙ্গে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার কথাও হয়েছে আমার। তবে একটা জায়গায় সমস্যা।’ বালকির কথায়, বায়োপিকের চিত্রনাট্য প্রস্তুত হয়ে গেলেও সমস্যা হবে সঠিক অভিনেতা খুঁজতে গিয়ে। সারা বিশ্বে দ্বিতীয় একজন অমিতাভ নেই। কাজেই অমিতাভের চরিত্রে অভিনেতা খোঁজাটা যথেষ্ট শক্ত। অমিতাভ পুত্র অভিষেক হয়তো করতে পারতেন, তবে তিনি নিজেই রাজি হবেন না। কারণ তিনি জানেন বিক্রি হওয়াটা যথেষ্ট কঠিন। কাজেই বিগ-বির সঙ্গে তাঁর বায়োপিক নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ঠিক এই জায়গাটাতেই আমি আটকে গেছি’। এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে টাইগার শ্রফ যেমন তার বাবা জ্যাকির চরিত্রে কখনো অভিনয় করবেন না,অথবা রাইমা সেন সুচিত্রা সেনের চরিত্রে করতে চাইবেন না।
আরো পড়ুন: Karwa Chauth katrina: সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর,স্বামীর হাতে জল খেয়ে উপোস ভঙ্গ করলেন ক্যাট
সদ্য ৮০ বছরে পা রাখলেন বলিউড অভিনেতা। তিনি এখনো পর্দা এলে বক্স অফিসে ঝড় উঠে। বলিউডের এমন এক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ছবি তৈরি করাটা যে যথেষ্ট কঠিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন পরিচালক বাল্কি। তবে বাল্কির কথায়,’আমি যে নিজেও চান তার জীবনী পর্দায় আমি তুলে ধরি। কারণ আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা যথেষ্ট ভালো।’
অমিতাভ বচ্চন যে বাল্কির শুধু ‘লাকি ম্যাসকট’ নন, তার চেয়েও বেশি কিছু তা বোঝাতে পরিচালক বলেন,’ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বিগ-বির অবদান আমি কখনো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’ তবে বিগ-বির বায়োপিকে তাঁর চরিত্রের অভিনেতার ব্যাপারে নিজের কোন পছন্দ আছে কি না সে ব্যাপারে পরিচালক বাল্কি কোন আলোকপাত করেননি।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ-রশ্মিকা অভিনীত ছবি ‘গুডবাই’। বক্স অফিসে এই ছবি খুব একটা সাড়া না ফেললেও, অমিতাভ বচ্চন ও রশ্মিকা মান্দানার জুটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনেপ্রেমীরা। আশি বছর বয়সেও অমিতাভ যে এতটা রঙিন, তা দেখে হতবাক তাঁর অনুরাগীরাও। তাই এমন মানুষের জীবনকে পর্দায় দেখার তাগিদ যে থাকবে, তা খুব ভালই জানেন আর বাল্কি।