‘জয়ী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রত্যেকের বাড়ির ড্রয়িং রুমে পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত।বর্তমানে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে কিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।ধারাবাহিকে নোয়া অর্থাৎ শ্রুতি দাস এবং কিয়ানের জুটিতে মুগ্ধ দর্শকরা।কিন্তু জানেন কি,দিব্যজ্যোতির ঈশ্বর বিশ্বাস কতটা?আপনাদের পছন্দের কিয়ান কিন্তু দারুণ ঈশ্বর ভক্ত।তাই জগন্নাথের পুজো উপলক্ষে তিনি রবিবার পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন ইস্কনে।সেখানে সারাদিন কাটিয়ে সোমবার সোজা গেছেন শ্যুটিং ফ্লোরে।স্টুডিওর সবাইকে প্রসাদ খাইয়েছেন তিনি।
তবে রথের দিনটা এলে একটু হলেও মন খারাপ হয় তাঁর।মনে পড়ে যায় ছোটবেলার রথ টানার স্মৃতি।অভিনেতার কাছে যে হর,সেই হরি হলেও কৃষ্ণের ভক্ত তিনি।শ্যুটিয়ের ফাঁকে সময় সুযোগ পেলেই গীতা পড়েন তিনি।গীতা তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
দিব্যজ্যোতি শুধু ভগবান ভক্তই নয়,তিনি বিশ্বাস করেন অসহায় মানুষকে সাহায্য করা তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।মহামারীর কালে মানুষ ক্রমশই একে অন্যের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। আড্ডা – গল্প – বিনোদন সবই এখন অতীত। চারদিকে শুধুই হাহাকার! প্রাণে বাঁচার লড়াই, দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগানোর লড়াই।সেই ভাবনা থেকেই ঘূর্ণি ঝড় যশ এবং করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে বন্ধুদের সহযোগিতায় দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা।দিব্যজ্যোতি বন্ধু শুভদীপ কাজলীর সহযোগিতায় ষাট দিন ধরে বিনামূল্যে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার, ওষুধ, মুদিখানার সামগ্রী সহ নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।কলকাতার বিভিন্ন এলাকা তো বটেই এমনকি শহরতলীর অনেক ঠিকানাতেও পৌঁছে গিয়েছেন পর্দার ‘ কিয়ান’ – এর সাহায্যের হাত।মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের কোভিড আক্রান্ত কেউ যেন না খেয়ে না থাকেন, ওষুধের অভাবে না কাতরান – পণ করেছিলেন দিব্যজ্যোতি।জীবে প্রেম করে যেই জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর..নিজের জীবন দিয়ে একথা মেনে চলার চেষ্টা করেন দর্শকের আদরের কিয়ান।