চিকিৎসকের কথা ভুল প্রমাণ করেছেন বলিউডের সুপার ডান্সার-অ্যাকশন হিরো

বলিউডে দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে অসংখ্য ছবিতে তাঁকে অ্যাকশন দৃশ্য করতে দেখা গেছে। তাছাড়াও তাঁর নিজস্ব নাচের স্টাইলে অসংখ্য গুনমুগ্দ্ধ তৈরি করেছেন বলিউডে। ২০০০ সালে বলিউডে প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ তেই রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। লক্ষ লক্ষ দর্শকদের হৃদয় জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলিউডের সুপারস্টার হৃতিক রোশন। যদিও মাত্র ছয় বছর বয়সে হৃতিক তার জীবনের প্রথম ‘আশা’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে একজন সাইড ডান্সার হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে কাজ করা আগে সেটে একজন স্পট বয়ের কাজ করতেন তিনি এমনকি অভিনেতাদের চা পরিবেশন এর কাজও করেছেন তিনি। ছোটবেলায় তার তোতলামি রোগ ছিল। রুপালি জগতে আসার আগে তাঁকে অ্যাকশন দৃশ্য ও নাচের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক করেছিলেন তাঁর চিকিৎসক। অভিনেতাকে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন শারীরিক কারণেই তিনি অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় কিংবা নাচ করতে পারবেন না। চিকিৎসকের কাছে এই কথা শোনার পর হৃতিক বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে চিকিৎসকের কথা তিনি ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। পর্দায় তার একশন দৃশ্য কিংবা নাচ দেখে কখনো মনে হয়নি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির আগে চিকিৎসকরা যে তাঁকে অ্যাকশন দৃশ্য কিংবা নাচের জন্য বারণ করেছিলেন তা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন। তিনি আরো জানান,’এই ধরনের ছবি করার জন্য আমি নিজের শারীরিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এটা আমার কাছে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। ছবিতে কাজ করার জন্য আমি স্বাস্থ্যের প্রতি অত্যন্ত যত্নবান ছিলাম। ২৫ টি ছবিতে নাচ- অ্যাকশন এবং সংলাপ বলা আমার কাছে একটা স্বপ্নের মত ছিল।’