স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মাধ্যমেই বহুদিন বাদে ছোটপর্দায় কাজে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী রুপা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ধারাবাহিকের একশো এপিসোডের আগেই ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা। অবশেষে সেই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।
আপাতত জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকের গল্প। শাশুড়ি ও বউমার সম্পর্কের প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকে শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এই কয়েকদিনের মধ্যেই ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ধারাবাহিকের গল্পকে স্পষ্ট ভাবে ‘নোংরা’ বলে আখ্যান দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, শুরুতে ঘুণাক্ষরেও জানানো হয়নি ধীরে ধীরে ‘ভ্যাম্প শাশুড়ি’তে পরিণত করা হবে তাঁকে। অভিনেত্রী জানান, “প্রথমের দিকে সব ঠিকঠাক চলছিল। আমাকে যে বীথিকা মিত্রের চরিত্র দেওয়া হয়েছিল সেটাতে যদি ৩৬টা প্যারাগ্রাফ থেকে থাকে, সেটা আস্তে আস্তে দেখলাম একটা প্যারাগ্রাফে দাঁড়িয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বীথিকা মিত্রকে অসম্ভব খারাপ এক শাশুড়ির পরিণত করা হল। একটা সময় আমি বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।”
তাঁর সংযোজন, “কোনও শিক্ষিতা মধ্যবিত্ত একটা মেয়ে আজকের দিনেও নির্যাতনের নামে ভাত ফেলে দেয় না। এই নিয়ে প্রতিবাদ করায় বলল তাহলে খাবারের প্লেট নিচে নামিয়ে রেখে দাও। আমি যে চরিত্র দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম সেটাকে কেন হঠাৎ পরিবর্তন করা হল তারও কোনো উত্তর আমি পাইনি। অবশেষে যখন আমায় বলা হল, বউমাকে মারতে হবে। তখন আমার মনে হল যে না, এইবার থামতে হবে। সেটা বলায়, দু’দিন পর বলল মারার জন্য হাত উঠবে আর ছেলের বউ হাতটা ধরে নেবে। কিন্তু মারতে চাওয়াটাই তো নোংরামি। প্রথমে আমাকে বলা হয়েছিল তোমার চরিত্র হচ্ছে বউমা রান্নায় নুনটা দিতে ভুলে গেলে সেটা তুমি দিয়ে দেবে। আর তার অপেক্ষায় আমি অভিনয় করতে করতে চারমাস কাটিয়ে দিলাম। যদি আমায় প্রথমে বলা হতো নেগেটিভ চরিত্র করতে হবে, তাহলে আমি রাজি হতাম না।” অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট, তাঁর ধারাবাহিক থেকে সরে আসার একমাত্র কারণ এই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য। প্রযোজনা সংস্থার সাথে বা চ্যানেলের সাথে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই।