কলকাতা: ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘বিবাহ অভিযান’। তার ঠিক চার বছর পরে ছবির দ্বিতীয় পর্ব আসছে। রুদ্রনীলের কতটা টেনশন হচ্ছে ছবি নিয়ে? রুদ্রর কথায়, “ছবির আগে ‘আবার’ কথাটা জুড়ে গিয়েছে বলেই টেনশন বেশি হচ্ছে। করোনার জন্য মানুষের জীবনেও প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। আমরাও সাহস করে ছবিটা রিলিজ করছি। সত্যি কথা বলতে মানুষের পছন্দের কোনো কাজের দ্বিতীয় ভাগ নিয়ে আসা সহজ কাজ নয়। ছবির চিত্রনাট্যে আমি কিছু কিছু বদল রেখেছি। সাধারণ মানুষের জীবনের এমন কিছু জিনিস রেখেছি, যেগুলো নিয়ে বাস্তবে প্রায়ই আলোচনা হয়।সেগুলি আছে চিত্রনাট্যের মধ্যে। এই নিয়ে আপাতত এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাই না।” ২০১৯ সালে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর রুদ্রনীলের বিয়ে নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল জানান, “আমি একদম জানি না যে করোনার পর কোন দম্পতি সাহস করে বলবেন যে, একে অপরকে নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড ‘দোকা’ লেগেছে। আমরা তো আসলে অভ্যাসের দাস। একা থাকতে আমার সেইরকম কোনো অসুবিধা বা অস্বস্তি হয় না। কিন্তু সত্যি এটাই যে কখনো কখনো মনে হয়, সঙ্গে কেউ থাকলে হয়তো পারস্পরিক আদানপ্রদান কিছুটা ভালো হতো।”
সংসার করতে কি তাহলে ভয় পান রুদ্রনীল? অভিনেতার কথায়, “মানসিকভাবে আমি এখনো সংসার করার মতো মানসিক প্রস্তুতির কাছাকাছি পৌঁছতে পারিনি। আমি ১০০ শতাংশ বিবাহের পক্ষে। আমি চেষ্টা করছি নিজেকে প্রস্তুত করতে যেখানে বিয়ে হলে ‘আমার’ শব্দটির মৃত্যু মেনে নিতে পারবো অথবা ‘আমাদের’ শব্দটাকে আলিঙ্গন করতে পারবো। রোজই প্রেমের প্রস্তাব আসে। আমি বিয়ে করিনি। আমার মহিলা বন্ধু থাকতেই পারে। যতটা আলোচনা হয় তার ১০ শতাংশ সত্যি হলেও আমি খুশি হতাম। তবে মজার কথা হল আমার পুরুষ বন্ধুও আছে। কিন্তু তাদের নিয়ে কখনোই কোনো আলোচনা হয় না।” কথায় কথা বাড়ে আর সত্যিই যেটা জানা গেলো না যে রুদ্রর প্রেম কেনই বা এতো ক্ষণস্থায়ী হয়? এতো তাড়াতাড়ি কেনই বা ভেঙে যায়? আর কবেই বা বিয়ের পিঁড়িতে সত্যিই বসতে চলেছেন তিনি? না, এসবের উত্তর বোধৰ রুদ্রের কাছেও নেই। অতএব ছবির আলোচনাতেই ফেরা যাক. প্রসঙ্গত, আবার বিবাহ অভিযান এ দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, রুদ্রনীল ঘোষ, অঙ্কুশ হাজরা, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার ও নুসরত ফারিয়াকে।