কলকাতা: আরজি কর ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে (RG Kar rape-murder case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে(Sanjay Roy) এমনই সাজা শুনিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের(Sealdah Court) বিচারক অনির্বাণ দাস(Judge Anirban Das) তাকে দেখা যাচ্ছে দু’টি ধারায় যাবজ্জীবন এবং একটি ধারায় আমৃত্যু কারাবাস৷ তবে, এই রায়ে অধিকাংশ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, কেন শুধু সঞ্জয়ই সামনে আসছে, কেন ঘটনার মূলচক্রীরা ধরা পড়ছে না !
এমনকি তৃণমূলের মেদিনীপুরের চন্ডিপুর বিধানসভা সদস্য টলি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও(Sohom Chakraborty) এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফাঁসি চেয়েছিলাম তবে সঞ্জয় তো একা দোষী নয়’। আর জি কর কাণ্ডে রায় নিয়ে এভাবেই মুখ খুলেছেন অভিনেতা সোহম।
সোমবার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত। পাঁচ মাসের বেশি বা ১৬২ দিনের মাথায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আরজি করে অভয়ার খুন ও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হল সঞ্জয় রায়। দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় দিলেন। শনিবার দুপুর ২টো ৪৪ মিনিটে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয়কে।
আরও পড়ুন: ‘ফাঁসি চেয়েছিলাম, তবে সঞ্জয় কি একাই দোষী!’ সোহম
অভয়ার প্রতি ঘৃন্য আচরণ করা হয়েছিল। সারা রাজ্য, সারা দেশ এর সুবিচার চেয়েছিলা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সঞ্জয়ের পরিবারের মনোভাব উল্টো। সঞ্জয়ের সাজা হলে হোক, এমনই বলেছেন, স্বয়ং সঞ্জয়ের মা। সঞ্জয়ের সত্তর বছরের বৃদ্ধা মা বলেছেন, তিনি একা-একা কাঁদবেন! এরপরই নিজের X হ্য়ান্ডেলে আরজি করের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
সোহম বলেন, ‘আদালতের এই রায় আমরা মেনে নিতে বাধ্য। তবেআমার মন ভরেনি। আরও অনেকের মতো আমিও চেয়েছিলাম, অপরাধীর চরমতম শাস্তি হোক। ফাঁসি-ই চেয়েছিলাম। তবে তা হল না।’ পরে ফের সোহম বলেন, মহামান্য আদালত যা ঠিক মনে করেছে তা করেছে, তবে তারপরেও সোহম মনে করছেন কোথাও একটা ফাঁক থেকে গেল। বিধায়ক-অভিনেতার কথায়, এমন ঘৃণ্য মানসিকতা যাঁদের তাঁরা হয়ত এই রায় শুনে ভাববেন, যাক পার তো পেয়ে গেলাম, বাকি জীবনটা নাহয় হাজতেই কাটাব। এই শাস্তি আগামী দিনে অপরাধীদের মনে ভয় ধরাবে না বলে মনে করছেন বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা।
দেখুন আরও খবর: