কলকাতা: স্টারকিডদের জীবন নিয়ে নেটিজেনদের কৌতূহল আজকের নয়। টলিউডের দাপুটে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কন্যা অন্বেষাকে ইতিমধ্যেই পর্দায় দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে জানা যাচ্ছে অন্বেষা নাকি প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। নিজেই আলাপ করিয়ে দিয়েছেন প্রেমিকের সঙ্গে। সম্পর্কের এক বছর পূর্তিতে দুজনের অন্তরঙ্গ আদুরে ছবি পোস্ট করেছেন অন্বেষ। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী প্রেমিকের নাম শ্লোক চন্দন। চন্দন কলকাতারই ছেলে। ছবির সঙ্গে অন্বেষা লিখেছেন পোস্টে লিখেছেন, ‘এক বছরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। এক বছর দারুন কেটেছে। আমার জন্য যা করেছো সেজন্য ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: ‘Martn’ Teaser: ‘কেজিএফ ২’, ‘কান্তারা’র পর নতুন কন্নড় ছবির ধামাকা!
স্বস্তিকা এবং প্রয়াত প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাগর সেন-পুত্র প্রমিত সেনের একমাত্র কন্যা অন্বেষা। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। দু বছরের বেশি টেকেনি সে বিয়ে। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছেই থাকেন অন্বেষা। বর্তমানে মুম্বইতে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করছেন তিনি। অন্বেষা নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মায়ের মতন খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করেন। সেই মতোই প্রেমিকের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন অন্বেষা। কোন ছবিতে দেখা যাচ্ছে অন্বেষার গালে ভালোবাসার চুম্বন এঁকে দিচ্ছে শ্লোক আবার কোথাও প্রেমিককে বিছানার মাঝখানে জাপটে ধরেছে অন্বেষা। আর সেগুলোই এখন নেট দুনিয়ায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
মেয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতোই সম্পর্ক মায়ের। কলকাতার অভিজাতক ক্লাবেও মা-মেয়েকে একসঙ্গে সুইমিংপুলে দেখা যায়। তাই মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের খুঁটিনাটি সবটাই জানেন স্বস্তিকা। তবু সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের এই গল্পটি ভালোবাসা দেখে স্বস্তিকা কমেন্ট বক্সে চিন্তা জাহির করেছেন। কিন্তু কেন! সেদিনের ছোট্ট অন্বেষা কি আজ অনেকটা বড় এবং পরিণত হয়ে গেছে বলে চিন্তিত মা!
অন্বেষা অনেক ছবির সঙ্গে একটি লাল বেলুনের ছবিও পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন,’মা জিজ্ঞাসা করে তুমি আমাকে প্রথম যে বেলুনটা দিয়েছিলে সেটা আজও কি করে জলে এবং তার ভিতরটা আজও কি করে হাওয়ায় ভরপুর? আমি বলি এটাই ভালোবাসা! তা শুনে মা হতবাক। আর এক মাস পরেই বাড়ি আসছি। অর্থাৎ কলকাতায়। তোমার কাছে। আই লাভ ইউ’।
অন্বেষার কথার জের টেনে স্বস্তিকা লিখেছেন,’ তাহলে আমার সঙ্গে বাড়ি জেগে থাকবে।?’ তার উত্তরে শ্লোক লিখেছেন, ‘আমি বাধ্য হয়েই তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’।
কিছুদিন আগেই স্বস্তিকা এক সাক্ষাৎ করে বলেছেন অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে আমার কোন আফসোস নেই, আমি ওই বিয়েটা ছাড়াও কাটাতে পারতাম, তাহলে হয়তো অন্বেষাকে পেতাম না! তাহলে হয়তো আমার অস্তিত্বটাই অবলুপ্ত হয়ে যেত। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি অন্বেষাকে পেয়েছি। ও না থাকলে আমি শেষ হয়ে যেতাম’।