ওয়াশিংটন: এক সপ্তাহ আগেই আমেরিকার আকাশে দেখা মিলেছিল চীনা স্পাই বেলুনের (China Spy Balloon)। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে চীন (China) বলেছে, ওই বেলুনটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র। ভুল করে মার্কিন আকাশে ঢুকে পড়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক রহস্যময় বস্তুর দেখা মিলল আমেরিকার আকাশে। মন্টানার পর এবার আলাস্কায় (Alaska), ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি সন্দেহজনক বস্তু উড়তে (Suspicious Flying Object) দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই বস্তুটিকে মিসাইল ছুড়ে নিষ্ক্রিয় করে বায়ুসেনা। হোয়াইট হাউস (White House) তরফে বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানানো হয়েছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ তরফে বক্তব্য, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলাস্কার আকাশে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে দেখা যায় অজানা একটি বস্তুকে। এই উচ্চতা দিয়েই অসামরিক বিমান চলাচল করে। কোনও বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বা মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। এই আশঙ্কাতেই ওই উড়ন্ত বস্তুটিকে মিসাইল ছুড়ে নামানো হয়। হোয়াইট হাউসের ন্যশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (President Joe Biden) সামরিক বাহিনীকে ওই উড়ন্ত বস্তুটিকে নীচে নামানোর নির্দেশ দেন। তারপরই ওই বস্তুটিকে নামানো হয়। তবে কোথা থেকে ওই ফ্লাইং অবজেক্ট মার্কিন আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল, কীই বা তার উদ্দেশ্য ছিল, সে বিষয়ে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু জানা যায়নি। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন তরফে জন কিরবির বক্তব্য, ওই রহস্যজনক বস্তুটি চীনা স্পাই বেলুনের থেকে আকারে অনেকটাই ছোট ছিল। ছোট একটি গাড়ির আকারের উড়ন্ত কোনও বস্তু ছিল এটি।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee: নিহত রাজবংশী পরিবারের পাশে অভিষেক, আক্রমণ শাহকে
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুসারে) আলাস্কার (Alaska) উত্তর-পূর্ব দিকে রহস্যজনক বস্তুটিকে উড়ে যেতে দেখা যায়। সেটি মিসাইল ছুড়ে নামানোর আগে কয়েকটি যুদ্ধবিমান ওই বস্তুর আশপাশ দিয়ে উড়ে যায়। রহস্যজনক বস্তুটি কী এবং কীভাবে মার্কিন আকাশে প্রবেশ করেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রথমে এফ-৩৫ বিমান পাঠানো হয়। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দেশে এফ-২২ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয় এবং মিসাইল ছুড়ে ইউএফওটিকে (Unidentified Object Flying) নামানো হয়। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও শি জিনপিং-এর দেশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত চলছে।