বেনি: ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (DR Congo) একটি গির্জায় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও ৩৯ জন। রবিবারের এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে ইসলামিক জঙ্গিদের (Islamic Extremist) হাত রয়েছে বলে সন্দেহ। বিস্ফোরণের বিশদ বিবরণী এখনও জানা যায়নি তবে ডি আর কঙ্গোর সেনা মুখপাত্র অ্যান্টনি মুয়ালুশায়ি বলেছেন, এই জঙ্গি কার্যকলাপ উগান্ডা (Uganda) সীমান্তে উত্তর কিভু প্রদেশের কাসিন্দির একটি গির্জায়। তাঁর বিবৃতিতেই স্পষ্ট এটি দুর্ঘটনা নয়, নাশকতার ঘটনা।
বিস্ফোরণের পর কেনিয়ার (Kenya) এক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে তবে এখনও মূল ষড়যন্ত্র কারা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রথমে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল। সেনা মুখপাত্র পরে ১০ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছেন। জোয়েল কিতাউসা নামে স্থানীয় এক নেতা গোছের ব্যক্তিত্বও ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্ফোরণে ৫২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Peru Political Unrest: জরুরি অবস্থা ঘোষণা সত্ত্বেও বিক্ষোভ বাড়ছে পেরুতে, মৃত বেড়ে ৪২
সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, জঙ্গিরা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি (IED) ব্যবহার করেছিল। অ্যালায়েড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ADF) উপর বিস্ফোরণের দায় চাপিয়েছেন মুখপাত্রটি। ডি আর কঙ্গোর যোগাযোগ মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়ায় এডিএফ-কেই (ADF) দায়ী করেছে। ইসলামিক স্টেট (Islamic State) সংগঠনের অনেকদিনের দাবি, মধ্য আফ্রিকায় তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে এডিএফ। ডি আর কঙ্গোর পূর্বাংশে ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম হল এই এডিএফ। এদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার সাধারণ কঙ্গোবাসীকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। অতীতে উত্তর কিভুতেও বোমা বিস্ফোরণে হাত ছিল এদের।
২০২১ সালে এডিএফ-কে ‘বিদেশি জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে তকমা দিয়েছিল। তার কারণ ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে এডিএফ-এর যোগাযোগ। এই সংগঠন সবথেকে বেশি সক্রিয় উত্তর কিভু এবং তার পার্শ্ববর্তী ইটুরি প্রদেশে। ২০২১ সালেই এই জঙ্গি সংগঠনকে শায়েস্তা করতে অভিযান চালায় কঙ্গো ও উগান্ডার মিলিত সেনাশক্তি। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) জানানো হয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৩৭০ জন নিরপরাধ মানুষ এডিএফের বলি হয়েছেন।