কাবুল: নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষকে চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহমদ আশরাফ ঘানি। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী বিসমিল্লা খান মহম্মাদি।
আরও পড়ুন- ক্যান্সারের ভুল রিপোর্ট দিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের শাস্তির মুখে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক
গত রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবান। ওই দিনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ঘানি। পরে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বার্তা দিয়ে জানান, “রক্তের বন্যা রুখতে আমাকে দেশ ছাড়তে হল। আমি চরম প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমি দুর্গে লুকিয়ে থাকলে তালিবানেরা কাবুলে হামলা করত। অনেক সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলত।”
আরও পড়ুন- কলকাতার কেউ আফগানিস্তানে আটকে নেই, নবান্নকে জানিয়ে দিল লালবাজার
প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা দখল অনেকটাই সহজ হয়ে যায় তালিবানের। যা নিয়েই ক্ষভ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিসমিল্লা খান মহম্মাদি। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “যারা নিজের দেশকে নিয়ে ব্যবসা করে এবং মাতৃভূমিকে বিক্রি করে দেয় তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। ওই সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা উচিত।” ওই পোস্টে হ্যশট্যাগ দিয়ে মহম্মাদি লিখেছেন, “ঘানিকে গ্রেফতার করুক ইন্টারপোল”
ওই একই দাবিতে সরব হয়েছে তাজিকিস্তানের আফগা রাষ্ট্রদূত। বুধবার তাদের পক্ষ থেকে ঘানির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। বলা হয় যে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ঘানি। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করুক ইন্টারপোল।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে বুধবার রাতের দিকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে আফগানিস্তানে ফেরার বিষয়ে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুবিচারের জন্য তাঁর লড়াই জারি রয়েছে। ঘানি দেশ ছাড়তেই নিজেকে আফগান প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেন আমরুল্লা সালেহ। তিনি ঘানির ডেপুটি ছিলেন। প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে ওই পদে তাঁরই বসার কথা। সংবিধান উল্লেখ করে ওই দাবি করেছিলেন সালেহ।
আরও পড়ুন- মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্ট, নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধল নবান্ন