করাচি: জঙ্গি হামলায় ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। জঙ্গিদের নিশানায় এবার পুলিশ (Police)। করাচিতে শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের দফতরকে নিশানা করে হামলা চালালো জঙ্গিরা। শুক্রবার রাতের এই হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান (Tehrik E Taliban) গোষ্ঠী। পুলিশের সদর দফতরে জঙ্গি হামলার খবরটি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধ প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী সারজিল ইনাম মেমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ছয়জন জঙ্গি এবং অন্তত ১ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। এদিন রাতে হঠাৎ করেই করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসে ঢুকে পড়ে ৮-১০ জন হামলাকারী। পুলিশ এবং হামলাকারীদের মধ্যে গোলাগুলি চলে। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে করাচি পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন প্রথমে হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এরপর চারতলা সেই পুলিশ দফতরে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পরে প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্স ও পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়।
পাক পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা পুলিশের উর্দি ব্যবহার করেছিল। দু’জন জঙ্গি দফতরের সামনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে আসে। বাকিরা পিছনের গেট দিয়ে ঢুকেছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। করাচির পুলিশ প্রধান টুইট করে ঘটনার বিষয়ে জানান।
পাক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ ওই হামলা চালানো হয়। তখন করাচির শরিয়া ফয়জাল এলাকায় পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা জনসাধারণের বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখানে পাঠানো হয় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি। সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। এদিকে, পাকিস্তান এই মুহূর্তে চরম অর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ক্রমাগত এই জঙ্গি হামলার জেরে নাজেহাল সেখানকার প্রশাসন।