ইসলামাবাদ: কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি ইস্তফা দিতে নারাজ। পাক পার্লামেন্টে অনাস্থার উপর ভোটাভুটি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইমরান খান (Imran Khan)। বললেন, ‘ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। বরং আগাম নির্বাচনই চাইব।’ ইমরান খানের বক্তব্য, যদি অনাস্থার রায় সরকারের পক্ষেও যায়, তা হলেও আগাম নির্বাচন চাইব। আর যা-ই হোক গদ্দারদের উপর ভরসা করে সরকার চালানো যায় না।
রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে পাক মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠা’ আমার সামনে তিনটে পছন্দ দিয়েছে। ইস্তফা, অনাস্থা ও নির্বাচন। আমি নির্বাচনই চাইব। তবে, প্রতিষ্ঠা বলতে ইমরান খান ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
ইমরানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে খবর, টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি সপ্তাহে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠক হয়। পাক সেনাপ্রধান নিজেই এসেছিলেন কথা বলতে। ইমরান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আগাম নির্বাচনই চাইছেন। এটাই তাঁর কাছে সেরা অপশন। তবে, লড়াই যে শেষ পর্যন্ত তিনি চালিয়ে যাবেন, তা-ও বলেছেন।
অনাস্থা ভোটাভুটিতে রবিবারই তেহরিক-ই ইনসাফের (Tehreek-e-Insaf) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে। পিটিআই জোট সরকারের মূল শরিক বিরোধীদের হাত ধরার পরেই অনাস্থায় ইমরানের হার একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরানকে গদিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত ভারতও, দাবি পাক মন্ত্রীর
তাঁর সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রে বিদেশি হাত রয়েছে এমন দাবিও করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। ওয়াশিংটনের হাত রয়েছে বলে শুধু দাবিই করেননি, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে, মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে সতর্কও করে দেন। যদিও ওয়াশিংটনের তরফে এই অভিযোগ নস্যাত্ করা হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, অনাস্থায় হার নিশ্চিত জেনেই সহানুভূতি আদায়ে এসব কথা বলছেন ইমরান।
চাপে যে তিনি রয়েছেন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, লড়াই যে তিনি ছাড়বেন না, তা বারবার বলেছেন। ইমরানের কথায়, ‘খেলার মাঠের সতীর্থরা জানতেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যেতাম। রাজনীতির ময়দানেও এই লড়াই শেষ পর্যন্ত চলবে। অনাস্থা ভোটের দিনই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা গর্দার।