কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা কেটেছে সবে। যুযুধান দুই পক্ষের কথা হয়েছে। প্রতিনিধিরা যে যার আস্তানায় ফিরে গিয়েছেন। মনে করা হয়েছিল সোমবারই হয়ত কিছু সুরাহা মিলবে ইউক্রেন-রাশিয়া বিবাদের। কিন্তু মঙ্গলবার যেভাবে কিভ সীমান্তের ৪০ মাইল জুড়ে রুশ সাঁজোয়া গাড়ির লাইন যেন বারুদের গন্ধ আরেকবার শুঁকিয়ে দিল।
তিনটি পরপর ঘটনা যেন ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia-Ukraine) যুদ্ধের গতিকে অন্য খাতে বওয়াতে শুরু করল মঙ্গলবার। প্রথমত, কিভ (Kyiv) সীমান্তে রুশ সেনার লম্বা লাইন। দ্বিতীয়ত জরুরি ভিত্তিতে কিভ ছাড়তে ভারতীয় পড়ুয়াদের নির্দেশ। তৃতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়াকে বার্তা। প্রয়োজনে মহাকাশ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য ইউক্রেনকে দিতে তারা প্রস্তুত।
শুরুটা হয়েছে নেটোতে (NATO) ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে। আমেরিকার মৌখিক সমর্থনকে ভরসা করে ভ্লাদিমির পুতিনকে হুমকি দিয়েছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। পুরো বিষয়টি হুমকি পালটা হুমকির জেরেই শুরু হয় বোমা ছোড়াছুড়ি। যুদ্ধ শুরু হয়।
Latest Intelligence update on the situation in Ukraine. pic.twitter.com/1Ynzlps2dY
— Ministry of Defence ?? (@DefenceHQ) March 1, 2022
দিন চারেক কাটে। আলোচনার টেবিলের মুখোমুখি হয় দুইপক্ষ। আশা করা হয়েছিল সমাধান সূত্র মিলবে। কিন্তু না। মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল কিভ সীমান্তে লম্বা রুশ সাঁজোয়া গাড়ির লাইন। পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় হামলার পরিস্থিতি (Russian military’s movements) তুঙ্গে। স্থলপথে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত রাশিয়া থেকে শেষ মুহূর্তের অনুমতি আসা বাকি রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Russia Ukraine War: ইউক্রেনকে ‘নির্মম’ আক্রমণ, কেড়ে নেওয়া হল পুতিনের ব্ল্যাক বেল্ট

ভারতীয়দের কেন দ্রুত কিভ ছাড়তে বলা হল? সন্দেহটা এখানেই। কেন জরুরি ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত। এমন নির্দেশ। নিশ্চয়ই নয়াদিল্লির কাছে কোনও আভাস রয়েছে। কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তাঁরা বলছেন, ‘মিত্র’ রাশিয়ার কাছ থেকে হয়ত কোনও বার্তা পাওয়ার পর কিভ থেকে ভারতীয়দের ফেরানো-সরানোর প্রস্তুতি তুঙ্গে এনেছে দিল্লি।

পরিস্থিতি কয়েকগুণ জটিল করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) এক বার্তা। যেখানে ইইউ মস্কোকে জানিয়েছে উপগ্রহ থেকে পাওয়া রুশ সেনার চলাচল সংক্রান্ত ভিডিয়ো ফুটেজ তারা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। আগেই মহাকাশ গবেষণায় রুশ হস্তক্ষেপের একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের এহেন বার্তা যেন কিভ-মস্কোর বাতাসে নতুন করে বারুদের গন্ধকে জোরালো করল।