কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রথম শান্তি বৈঠকে মেলেনি সমাধানসূত্র। দ্বিতীয়বারের জন্য শান্তি বৈঠকে বসতে চলেছে মস্কো-কিভ। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের অষ্টম দিনে ফের শান্তি বৈঠক৷ আগের মতই বেলারুশেই দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসবেন৷ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের টুইটার হ্যান্ডেলে এমনটাই বলা হয়েছে৷
ওই টুইটে দাবি, ইউক্রেন ও রাশিয়া নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেডিনস্কির মতে, পোলিশ সীমান্তের কাছে বেলারুশে ৩ মার্চ দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
⚡️ Ukraine, Russia to hold new round of peace talks.
According to Vladimir Medinsky, assistant to Russian President Vladimir Putin, the second round of negotiations will take place on March 3 in Belarus, close to the Polish border.
— The Kyiv Independent (@KyivIndependent) March 3, 2022
নতুন করে শান্তি বৈঠকের কথা বলা হলেও আগের শান্তি বৈঠকে কোনও রফা সূত্র বের হয়নি৷ ইউক্রেন রাশিয়াকে সমস্ত সেনা ফেরানোর দাবি জানিয়েছিল৷ তারপর সেনা ফেরানো তো দূর, ইউক্রেনের বড়, জনবহুল এলাকায় হামলা চালায়৷ টিভি টাওয়ারে হামলা চালানো হয়৷ প্রথম থেকে প্রায় প্রতিদিনই নতুন কায়দায়-বড়-ভয়ঙ্কর করছে তাঁরা৷ এমত অবস্থায় ফের শান্তি বৈঠকের রফাসূত্র নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে৷ রুশ সেনারা যেভাবে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে শান্তি বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যায়৷ কারণ?
কিভের পাশ্ববর্তী শহরে ইরপিনে জোরালো হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার গোলাবর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই শহরে। রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় আছড়ে পড়ে রুশ মিসাইল। বেশ কিছু বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল বুধবার ১৫ ঘণ্টা একটানা বোমা হামলার শিকার হয়েছে। ডেপুটি মেয়রের মতে, এটা ‘মানবিক বিপর্যয়’। তিনি জানান, রাশিয়ান সেনাবাহিনী এখানে তাদের সমস্ত অস্ত্র দিয়ে কাজ করছে- আর্টিলারি, একাধিক রকেট লঞ্চ সিস্টেম, বিমান, রকেট।
ওখতিরকায় লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে। ক্রেমিনার লুহানস্ক অঞ্চলের মেয়র ভলোদিমির স্ট্রুককে গুলি করে হত্যা করা হল। ইউক্রেনের মিনিস্ট্রি অফ ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স-এর প্রধান উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মেয়রকে গুলি করে খুন করেছে। তারপরও নিজের বক্তব্যে অনড় জেলেস্কি৷ ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবে না। জানিয়ে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, আমরা দুটি বিশ্বযুদ্ধ, তিনটি দুর্ভিক্ষ, চোরনোবিল বিস্ফোরণের পরেও বেঁচে রয়েছি। তারা বহুবার আমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। যদি কেউ মনে করে ইউক্রেনিয়রা ভীত, ভেঙে পড়বে বা আত্মসমর্পণ করবে, সে আমাদের সম্পর্কে কিছুই জানে না।
এখন দেখার প্রথম দ্বিতীয় শান্তি বৈঠকে কী হয়৷ নাকি আগের মতই শুধু আলোচনা ও দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধা থাকবে কিভ-মস্কোর শান্তি বৈঠক!