ওয়েব ডেক্স: ইজরায়েলের (Israel) সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সিরিয়া সরকারের পতনের পর, ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) ‘অপারেশন বাশান অ্যারো’ পরিচালনা করেছে, যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা। ইজরায়েল দাবি করেছে যে, তারা সিরিয়ার ৮০% সামরিক সম্পদ ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে বিমানবন্দর, ক্ষেপণাস্ত্র স্টকপাইল এবং অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত। এই আক্রমণগুলি সিরিয়ার সরকারের পতনের পর সৃষ্ট সামরিক শূন্যতাকে পূর্ণ করে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।
এই সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে, ইজরায়েল কেবল সিরিয়ার আক্রমণাত্মক ক্ষমতা ভেঙে ফেলেনি, বরং সিরিয়ার বিপজ্জনক সামরিক উপাদানগুলির হস্তান্তরও ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। ইজরায়েলের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ায় অবস্থিত অগ্রসর প্রযুক্তি এবং অস্ত্রের মাধ্যমে শত্রু গোষ্ঠীকে শক্তিশালী হওয়া থেকে বিরত রাখা, যাতে সেগুলি ইজরায়েলের সীমান্তে হুমকি তৈরি না করে।
আরও পড়ুন: আরাকান আর্মির ভয়ে ২৭০ কিমি বর্ডার ‘সিল’ করল ইউনুস সরকার!
ইজরায়েল সরকারের মতে, এই পদক্ষেপগুলি কেবল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পরিচালিত হয়েছিল এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই আক্রমণগুলি সিরিয়ার জনগণের জন্য মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ সংঘাতের শিকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তবে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে, সিরিয়ার ভেতরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এবং ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া শীর্ষে অবস্থান করছে। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ সিরিয়া এবং এর মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে, যাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হিসেবে সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণের ফলে সিরিয়ায় আরও দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে বাধা হতে পারে।
গাজার বুকে জারি রয়েছে যুদ্ধ। হামাস একের পর এক আঘাত হানছে ইজরায়েলি বাহিনীর উপর। দিন দিন বাড়ছে আক্রমণ। গাজার উত্তরের শহরগুলিতে যখন আগ্রাসন চালিয়ে চলেছে তখন আল কাসাম ব্রিগেট প্রতিরোধ গড়ে তুলছে গোপনে। শেষমেষ, সিরিয়া-ইজরায়েল সংঘাতের এই সাম্প্রতিক অধ্যায় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। ইজরায়েল তার সীমান্ত সুরক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সিরিয়ার ভবিষ্যতের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এই সংকটের জন্য একটি স্থায়ী শান্তির ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেখুন আরও খবর: