ওয়াশিংটন ডিসি: ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের৷ কিন্তু কোনও ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা৷ এমনটাই দাবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের৷ যুদ্ধ যে অবশ্যম্ভাবী তা একপ্রকার নিশ্চিত পশ্চিমি দেশগুলো৷ কিন্তু কী কারণ দেখিয়ে ইউক্রেনে হামলা করবে রাশিয়া? আমেরিকার জবাব, কোনও না কোনও অজুহাত খাঁড়া করে হামলা করবে মস্কো৷
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হামলা কবে হবে? আমেরিকা জানিয়েছিল, বেজিং অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার আগে আকাশপথে মিসাইল ছুড়ে যে কোনও সময় যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দেবে রাশিয়া৷ এই মুহূর্তে কিভে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ মঙ্গলবার তাঁর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা৷ দু’জনের মধ্যে ইউক্রেন নিয়েও কথা হতে পারে৷ তিনি চলে যাওয়ার পরই রাশিয়া অগ্রসর হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গোপন রিপোর্ট দিয়েছিল আমেরিকার গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি৷ যদিও সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, ঠিক কোন দিন হামলা হবে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে না৷ কিন্তু আমরা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছি৷ এটা বলতে পারি, ন্যাটো এলাকার এক ইঞ্চি জমি আমেরিকা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷
রবিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কির সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন৷ রাশিয়াকে প্রতিহত করতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে সম্মত হন তাঁরা৷ বাইডেনকে ইউক্রেনে আসার আমন্ত্রণও জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির৷ এদিকে হামলা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলো অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেমলিনের৷ উল্টে রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটোকে মোতায়েন করে মস্কোর উপর আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের৷ ওইদিন ফোনে পুতিন জো বাইডেনের কাছে নিশ্চয়তা চান, রাশিয়ার পূর্ব সীমান্ত থেকে ন্যাটো বাহিনীকে সরিয়ে নিতে হবে৷ ইউক্রেনে ন্যাটো বাহিনী প্রবেশ করবে না৷
আরও পড়ুন: Ukraine crisis: ইউক্রেনে যুদ্ধের রসদ মজুদ করছে আমেরিকা, চরম উত্তেজনা