মস্কো: তালিবান ইস্যুতে মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার মস্কোয় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে শেষে পুতিনের মুখে কার্যত তালিবানদের সমর্থনের সুর শোনা যায়। সরাসরি তিনি কিছু না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া সরকার তালিবানের পাশেই থাকবে।
আফগানিস্তানে তালিবানি-রাজ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নেওয়া উচিত। আফগানিস্তানের উপর তাদের মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তালিবান এখন যেভাবে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে, আমাদের উচিত তা মেনে নেওয়া। যেন তেন প্রকারে আফগানিস্তানের পতন রুখতেই হবে।’
রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তেই তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয় আফগানিস্তান সরকারের। এপ্রিল মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা৷ আমেরিকার ঘোষণায় শক্তিসঞ্চয় করতে শুরু করে তালিবানরা৷
আরও পড়ুন: তালিবানদের সমর্থনে কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
এর পর গত তিন মাসে একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যগুলির দখল নিতে শুরু করে তারা৷ রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। এর আগে পাকিস্তানের গলাতেও তালিবান সমর্থনের সুর শোনা গিয়েছিল। আফগানিস্তানে তালিবান-রাজকে সমর্থন জানিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দাসত্বের শিকল ভেঙেছে তালিবান’।
ইমরান বলেছিলেন, ‘আপনি অন্যের সংস্কৃতি দখল করেন এবং মানসিকভাবে বশীভূত হন। যখন এটি ঘটে, মনে রাখবেন, এটি প্রকৃত দাসত্বের চেয়েও খারাপ। সাংস্কৃতিক দাসত্বের শিকল ছুড়ে ফেলা কঠিন কাজ। আফগানরা দাসত্বের শিকল ভেঙে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: কো-এডুকেশনে ফতোয়া তালিবানের, উচ্চশিক্ষায় বঞ্চিত হবেন মেয়েরা
রাশিয়া, পাকিস্তান ছাড়াও তালিবানদের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে চীন। বেজিংয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়। তালিবান ইস্যুতে ভারত কী ভূমিকা নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তালিবানরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠালে ফল মারাত্মক হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সুম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী তালিবানরা।