ওয়েব ডেস্ক: ঝাড়ু পে ঝটকা! অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টির (AAP) প্রতীক ঝাড়ু। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election) দিল্লিবাসী কি ঝাড়ু দিয়ে বিদায় করবে আপকে? বুধবার ৭০ আসনের দিল্লির বিধানসভা ভোটের পর বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষাতে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২৭ বছর পর রাজধানীতে পদ্ম ফুটবে। ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি (BJP)। অথচ প্রাক নির্বাচনী বেশিরভাগ সমীক্ষাতে বলা হয়েছিল আপ দিল্লিতে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে কি বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তকে যে সুরাহা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এটা তারই সুফল? বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলছে না এরকম এখন আকছার দেখা যায়। সদস্য সমাপ্ত হরিয়ানা বিধানসভাতেও বেশিরভাগ সমীক্ষাতে বলেছিল কংগ্রেস জিতবে। অথচ সেখানে বিজেপির সরকার গড়েছে। এদিন ৫৭.৭০ শতাংশ ভোট পড়ার পরই আপের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে শনিবার ফল গণনার দিনই জানা যাবে আসল চিত্র। এই সমীক্ষা রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে আপ শিবিরের। যদিও তারা এই সমীক্ষা রিপোর্টকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে।
বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষাতে বলা হয়েছে বিজেপি ৩৫ থেকে ৫০টি আসন পেতে পারে। চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস এগজিট পোলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির জন্য ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। আম আদমি পার্টির জন্য ২৫ থেকে ২৮টি আসন। বেশিরভাগ সমীক্ষাতে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেস ০ থেকে ৩টি আসন পেতে পারে। তবে উই প্রিসাইড ও মাইন্ডব্রিঙ্ক নামে দুটি সংস্থা এগজিট পোলে জানিয়েছে, আপ জিততে চলেছে। ম্যাট্রিজ জানিয়েছে, আপ ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়ল ৫৭.৭০ শতাংশ
দিল্লিতে সাড়ে ৪ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছে। এছাড় দিল্লির অর্ধেক ভোটার বাইরে থাকা আসা। তারা বিভিন্নভাবে চাকুরিজীবী। ফলে তাঁদের অনেকেই ওই ১২ লাখ আয়ে কর ছাড়ে সুবিধা পেতে পারেন। অনেকের মতে হিন্দুত্ব তাস কাজ করতে পারে। এদিন দিল্লির ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মহাকুম্ভে স্নান করাকেও অনেকে মনে করছেন ভোট রাজনীতির অঙ্ক কষে। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা করানোও হতে পারে ইদানীং এমন অভিযোগও উঠছে। আবার একটি অংশের মতে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনীতির সূত্রপাত আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে। তাঁর দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই ইস্যু কাজে এসে থাকতে পারে। যদিও আপের অভিযোগ ছিল, চক্রান্ত করা হয়েছে। আবগারি কেলেঙ্কারিতে মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটানো হয়েছে কেজরিওয়ালকে। এখন সব নজর থাকবে ৮ ফেব্রুয়ারির দিকে। সেদিনই পরিষ্কার হবে চতুর্থবারের জন্য কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হবেন না কি বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে দিল্লিতে।
দেখুন অন্য খবর: