কলকাতা: আজ, শুক্রবার অঘোষিত রাত জাগছেন আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডে বিচার চাওয়া সবাই। যে দিনটির অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন প্রত্যেকে। অবশেষে অ-পে-ক্ষার অবসান। রাত পোহালেই আর জি কর হাসপাতালের মধ্যে নৃশংসভাবে তরুণী ডাক্তারের (Doctor) খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় রায় ঘোষণা হতে চলেছে। পাঁচ মাসের মাথায় শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার এই রায় ঘোষণা করবেন। তাঁর হাতেই বহু প্রতীক্ষিত ওই মামলার রায় লেখা হবে। হাসপাতালের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। কলকাতা পুলিশ ও পরে সিবিআই ওই মামলার তদন্ত করেছে। ওই নৃশংস ঘটনায় শাস্তির ক্ষেত্রে তৈরি হবে নজির? আতশকাচের তলায় রয়েছেন মামলার একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় দাস। এনডিপিএস আদালতের (NDPS Court) এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি (Punishment) দিয়েছিলেন ওই বিচারক।
কে এই বিচারক? আইনজীবীদের সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন বিচারক দাস। মুর্শিদাবাদে আইনজীবীর কাজ শুরু করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বিচারক হন। সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন কৃষ্ণনগরে। পরে বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হন। তিনি ২০১১ সালে হন অতিরিক্ত জেলা জজ। ২০১৩ সালে জেলা বিচারকদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হন। শিয়ালদহ আদালতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি পুরুলিয়ায় কর্মরত ছিলেন। দুবছর আগে শিয়ালদহ আদালতে আসেন। একসময় কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টারও ছিলেন।
আরও পড়ুন: গুড়াপে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসির সাজা
গত ১১ নভেম্বর থেকে আর জি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় শিয়ালদহ আদালতে বিচারক দাসের এজলাসে। রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।
দেখুন অন্য খবর: