নয়াদিল্লি: নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indoor) তৃণমূলের কর্মিসভা (Trinamool Committee) থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee) ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পরেই, ভুয়ো ভোটার ধরপাকড়ে নেমেছেন রাজ্য নেতৃত্বরা। একই এপিক নম্বরে (Epic Number) পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সঙ্গে অন্য রাজ্যেও ভোটার নথিভুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, গুজরাত, রাজস্থান ও পঞ্জাবে একই এপিক নাম্বারে ভোটার রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) (Election Commission) ।
রবিবার কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট ভোটার মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। ইসি আরও জানিয়েছে EPIC নম্বর “অভিন্ন হতে পারে’ কিন্তু জনসংখ্যার বিবরণ, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র সহ অন্যান্য বিবরণগুলি আলাদা।
নির্বাচনী প্যানেল অনুযায়ী, এপিক নাম্বার অনুযায়ী একজন ভোটার শুধুমাত্র তাদের রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের মনোনীত ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন যেখানে তারা ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অন্য কোথাও নয়।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরী ভাইপোর পোস্ট কেড়ে নিলেন পিসি মায়াবতী
কমিশন জানিয়েছে, সমস্ত রাজ্যের ভোটার তালিকা ডাটাবেসকে ERONET প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার আগে একটি “বিকেন্দ্রীকৃত এবং ম্যানুয়াল পদ্ধতি” অনুসরণ করার কারণে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কিছু নির্বাচকদের জন্য অভিন্ন EPIC নম্বর বা সিরিজ বরাদ্দ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, স্থানীয়ভাবে একটা সময় ভোটার কার্ড তৈরি এবং বিলি করা হত। তাই কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এপিক কার্ডের নম্বর এক হয়ে থাকতে পারে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, একই এপিক কার্ড থাকা ভোটারদের ইউনিক এপিক নম্বর দেওয়ার জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় পোর্টাল আপডেট করছেন। প্রত্যেক ভোটার যাতে আলাদা নম্বরের এপিক পায় তা নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করবে। ERONET 2.0 প্ল্যাটফর্মটি এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আপডেট করা হবে।
দেখুন অন্য খবর: