ওয়েব ডেস্ক: বাংলার মায়া ভরে পথে হাঁটতে হাঁটতে উদাত্ত কণ্ঠে গান গাইতেন। থামল কণ্ঠ। স্রষ্টা আর গাইবেন না, আমি বাংলায় গান গাই। কোনও যন্ত্র সঙ্গীতের দাপাদাপি জায়গা পায়নি। হাতের তুড়ির ছন্দে গাওয়া যে গান অমর বাঙালির হৃদয়ে। সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের ঘটনাকে গানে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন। গানের ভুবন ছেড়ে পরপারে (Singer) প্রতুল মুখোপাধ্যায় (Protul Mukherjee)। ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি ছিলেন। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর প্রয়াণে (Demise) শোকের ছায়া বাংলার গানের জগতে। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসদনে শায়িত শিল্পীর মরদেহ। এদিন বিকেল ৪টেয় গান স্যালুট দেওয়া হবে শিল্পীকে। তারপরে এসএসকেএমে দেহদান।
বাংলাদেশ থেকে চুঁচুড়া হয়ে কলকাতা। কখনও প্রথাগত সঙ্গীতশিক্ষার তালিম নেননি। অথচ একের পর এক কালজয়ী গান রচনা করেছেন। সুর দিয়েছেন। নিজেই গেয়েছেন। ১৯৪২ সালের ২৫ জুন বরিশালে জন্ম। ১৯৯৪ সালে ‘যেতে হবে’ তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম। আলু বেচো ছোলা বেচো, ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ, সেই মেয়েটির মতো গান বাঙালি মননে গেঁথে রয়েছে। নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, উনি থাকবেন না সেটা বেদনার, তবে ওঁর গান থেকে যাবে। হ্যামলেট নাটকেও ওঁর গান ব্যবহার করি। কবীর সুমনের কথায়, প্রতুল মুখোপাধ্যায় নিজেই আস্ত গান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও বাংলার গান গেয়ে শোনাতেন সবাইকে। তাঁর মতো আলু ছোলা বিক্রি করার শ্রমিকদের জীবন গান হয়ে উঠবে আবার কার কণ্ঠে?
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে কি ‘বসন্ত উৎসব ২০২৫’ হবে? জেনে নিন বড় আপডেট
দেখুন অন্য খবর: