বীরভূম: এগিয়ে আসছে রংয়ের উৎসব দোল (Holi 2025)। অনেকেই এই উৎসবে শান্তিনিকেতনে রওনা দেন। কিন্তু যাঁরা এবার এরকম কোনও পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে খারাপ খবর। কারণ বীরভূমের (Birbhum) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) এবারও উন্মুক্তভাবে বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav 2025) পালনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ফলে এই নিয়ে একটানা ছ’বছর ধরে বিশ্বভারতীতে বন্ধ থাকছে ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসবের জনসমাগম। বিশ্বভারতীতে শেষবার ২০১৯ সালে সাধারণ মানুষের জন্য বসন্ত উৎসবের দরজা খোলা হয়েছিল। তবে এরপর ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে উৎসব বন্ধ রাখা হয়। এরপর ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বভারতীর নিজস্ব কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তের ফলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। গত বছরও উৎসব উন্মুক্ত না রেখে শুধুমাত্র ‘বসন্ত বন্দনা’র আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীরা অংশ নেন। এবারেও একই ধাঁচে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন নাবালিকাকে ধর্ষণ
বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, জনসমাগম ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারও বসন্ত উৎসব কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে ‘বসন্ত বন্দনা’ পালন করা হবে। ক্যাম্পাসের ভিতরেই শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংগীত-নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এই আয়োজন হবে। তবে গত বছরের মতো এবারও আবির ও রং খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা। বহু মানুষ আশা করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অবসর গ্রহণের পর যেমন পৌষমেলা ফিরেছে, তেমনই বসন্ত উৎসবও আগের রূপে ফিরে আসবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবছরও উৎসব উন্মুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁদের সেই আশা ভঙ্গ হল।
দেখুন আরও খবর: