নদিয়া: এক বিদ্যালয় ভালোবাসা। শীতের মিঠে রোদে বসে স্কুলের খাবারের থালায় হরেক রকমের পিঠেপুলি (Pithe Puli) পেয়ে খুশিতে ভরে উঠল স্কুলের (School) কচিকাঁচারা। মরশুমি পিঠে, পায়েসের গন্ধে ম-ম করছে। একসঙ্গে স্কুল চাতালে বসে তা খাচ্ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষকরাও তারিয়ে তারিয়ে সেই সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করছেন। মিড ডে মিলে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় সেভাবে বাড়েনি। যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আছে। তাবে তারই মধ্যে নদিয়ার মায়াপুরের একটি স্কুলে মিড ডি মিলে পড়ুয়াদের পাতে শীতের পিঠে তুলে দিয়ে মন জিতে নিলেন শিক্ষকরা। খুশি অভিভাবকরাও। মায়াপুরের পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। নতুন শিক্ষাবর্ষে নবান্নের মতো আনন্দ চেটে পুটে উপভোগ করল নবীন পাতারা। ঘটনাটি পৌষ সংক্রান্তির দিনের। কিন্তু ওই স্কুলের শিক্ষকদের এই উদ্যোগের কথা এখন এলাকায় লোকেদের মুখে মুখে ঘুরছে।
শুধু মিড ডে মিলে ভাত, সবজি, ডাল বা ডিম নয়। স্যারেরা হরেক রকমের পিঠে পুলি ও নলেনগুড়ের পায়েসের আয়োজন করলেন। পৌষ মানেই হরেক রকম পিঠের মরশুম। ইদানীং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর ভর্তির প্রবণতা কমছে। এই বিদ্যালয় সে দিক থেকে অনেকটাই ব্যতিক্রম। প্রতিবছরই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই স্কুলে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৯২। এই স্কুলে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। ছাত্রের সংখ্যা ৯৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯৮। ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করে তোলা এবং উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স, ডিজিটাল লাইব্রেরি, প্রজেক্টরের মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাস, কম্পিউটারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বিধবাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ বলেন, শীতকাল মানেই বাঙালির ঘরে-ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন হয়। আমাদের এখানে কচিকাঁচারা তা থেকে বঞ্চিত হবে কেন? গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তুলে ধরতে এবং বিদ্যালযমুখী করে তুলতে এই আয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই মিড ডে মিলে চিরাচরিত খাবারের পাশাপাশি শীতের মরশুমি রসনার স্বাদ পেয়ে খুশি ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু কীভাবে এই আয়োজন? এক শিক্ষক হেসে বললেন, যদি হয় সুজন তেঁতুল পাতায় নজন। ওই বাজেটেই ভালোবাসা মিশিয়ে আমাদের সন্তানদের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: