ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভা ভোটের (Delhi Vote) প্রার্থী তাহির হুসেনের (Tahir Hussain) অন্তর্বর্তী জামিনের (Interim Bail) আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির ভিন্ন রায়। ভোটের প্রচারের স্বার্থে দিল্লি দাঙ্গা মামলায় অভিযুক্ত তাহির হুসেনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনে ভিন্ন রায় বিচারপতি পঙ্কজ মিথল ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি মিথল আবেদন খারিজ করলেও বিচারপতি আমানুল্লাহ অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন। শেষ পর্যন্ত বেঞ্চ মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ফলে হয় মামলাটি তৃতীয় কোনও বিচারপতির কাছে অথবা বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে যাবে।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভার মুস্তাফাবাদ কেন্দ্র থেকে এআইএমআইএম প্রার্থীর হয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য হুসেনকে কাস্টডি প্যারোল দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে। সেই সূত্রে হুসেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার সময় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো কর্মী অঙ্কিত শর্মা হত্যাতেও অভিযুক্ত হুসেন।
আরও পড়ুন: ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে শ্যামাসুন্দরী মোনালিসার ঢেউ, সেনসেশন অনলাইনে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার নয়। দ্বিতীয়ত হাইকোর্ট তাকে প্যারোলে সাময়িক ছাড় দিয়েছিল। এই অবস্থায় তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দান প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেবে। প্রতিটি বিচারাধীন বন্দি এই কারণে বাইরে যেতে চাইবে। কারণ সারা বছরই নানারকম নির্বাচন হতেই থাকে। তৃতীয়ত এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বিচারাধীন বন্দিরা শুধু ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। ভোট দিতেও চাইবে। চতুর্থত প্রচারের স্বার্থে অভিযুক্ত বাড়ি-বাড়ি যাবে। এমনকী অপরাধস্থল এবং সাক্ষীদের সঙ্গে মোলাকাতও হতে পারে। ফলে সাক্ষী প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। মনে রাখতে হবে, চার্জশিট অনুযায়ী অভিযুক্তের বাড়ির ছাদ ছিল অপরাধের কেন্দ্রস্থল। অভিমত বিচারপতি মিথলের। অভিযোগ নিঃসন্দেহে গুরুতর ও সুগভীর। কিন্তু অন্যান্য মামলায় অভিযুক্ত ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। তাই আবেদনকারীকে চার ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া যায়। চার তারিখ দুপুরে তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। নির্দেশ বিচারপতি আমানুল্লাহর।
দেখুন অন্য খবর: