মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানে তুলে দেওয়া হল টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। এককথায় টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশকর্মীরা যখন চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দিতে শুরু করে, তখন তাঁদের অনেককেই পুলিশের বিরুদ্ধে ‘হায় হায়’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপ্রকার জোরজবরদস্তি করে রাস্তা খালি করে দেয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী।
চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার অনুরোধ আগেই করা হয়েছিল বিধাননগর পুলিশের পক্ষে। অনুরোধে কাজ না হওয়ায় শেষমেশ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ওঠেননি আন্দোলনকারীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আটক করা হয়। কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছিল র্যাযফ এবং পুলিশের বিশাল বাহিনী।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: প্রথমে টাটা প্রসঙ্গ তারপর তাপসী মালিক, ফের মমতার নিশানায় সিপিএম
আন্দোলনকারীদের আটক করার আগে পুলিশের তরফে মাইকিং করে উঠে যেতে বলা হয়। অনুরোধে কাজ না হওয়ায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশে পদক্ষেপ করে পুলিশ। রাতেই সেখানে হাজির হল ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের আটক হওয়ার ঘটনায় তিনি বলেন, এই আন্দোলন ভেঙে দিতে পুলিশ অনৈতিকভাবে পদক্ষেপ করেছে। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাব। আন্দোলন চলবে। কার নির্দেশে এটা হল, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন মীনাক্ষী। এসএফআই-ডিওয়াইএফআই এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার আন্দোলনস্থলে বিক্ষোভ দেখাবে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করে রাজ্য সরকারের নিন্দা করছেন বিষয়টি নিয়ে। পুলিশ যখন তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তখন আন্দোলনকারীদের চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, আমরা কী চোর! আমরা কী খুনি! আমাদের অপরাধটা কী!