কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College) জট অব্যাহত। ছাত্র ভোটের (Student Union Election) দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের অনশন (Hunger Strike) ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। তারই মধ্যে সোমবার সেখানে গেলেন গেলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরা ফেস্টুন নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। প্ল্যাকার্ডে সিলেকশন নয় ইলেকশন চাই, ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন চাই, মেডিক্যালের ছাত্রীরা কেন হস্টেল পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ (Authority) জবাব দাও সহ বিভিন্ন দাবি লেখা ছিল। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সামনে অন্যান্য পড়ুয়ারা তৃণমূল হায় হায় স্লোগান দেন।
এদিন ঋতম (Ritam) নামে এক অনশনকারী পড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে আরও দুজন পড়ুয়া অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরও তাঁরা ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনশনকারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা সবসময় এর উপর নজর রাখছেন বলে কলেজের অধ্যক্ষ (Principal) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন। আগামীকাল, মঙ্গলবার এই বিষয়ে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ (Important) বৈঠক রয়েছে। অসুস্থ পড়ুয়া ঋতমের অনশন লড়াইকে সংহতি জানাচ্ছেন অন্যান্য পড়ুয়ারা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড লিখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Awas Yojana Demise: আবাস যোজনার সমীক্ষায় চাপ, আইসিডিএস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ
কলেজের সেন্ট্রাল ল্যাব (Central Lab) বন্ধ নিয়ে ও পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজ, সোমবার জমা পড়ার কথা। উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন শুরুর সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ছাত্র ছাত্রীদের দাবি মেনে ওই দুটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে পড়ুয়ারা কলেজে ২২ তারিখে ছাত্র ভোটের দাবিতে অনড় থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, কলেজ কর্তৃপক্ষই চেয়েছিল ওই দিন ভোট হবে। তাহলে তাঁরা পিছিয়ে যাচ্ছে কেন? বেশ কয়েক বছর সেখানে ভোট হয়নি।